শিশুর কান্নায় ঘুম ভেঙ্গে দেখতে পেল সঞ্চিতার ঝুলন্ত লাশ


দুই বছরের শিশু ভাতিজী নীলা ভোর বেলায় যখন কান্না করে বলছে পিশি কোলে নাও, তখন বাড়ির লোকজন সজাগ হয়। ঘরের দড়জা না খুলায় দড়জা ভেঙ্গে সঞ্চিতার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান সবাই নবম শ্রেণির ছাত্রী সঞ্চিতা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার রাতে মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী পূর্বপাড়ায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
সঞ্চিতা রাজবংশী বাওয়ার কুমারজানী পূর্বপাড়ার শুকুমার রাজবংশীর মেয়ে। সে দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সঞ্চিতা রাজবংশী তার ভাইয়ের দুই বছরের শিশু কন্যা নীলাকে নিয়ে বসত ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। সকালে যকন ওই শিশু কন্যা কান্না করে বলছে পিশি কোলে নাও, তখন বাড়ির লোকজন সজাগ হন। বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকি করলেও সঞ্চিতা সারা দেয়নি। দগজা ভেঙ্গে ভেতরে গিয়ে সঞ্চিতার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে সঞ্চিতার মরদেহ উদ্ধার করে।
মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই আত্মহত্যার পেছনে প্রেমঘটিত কারণ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।