‘উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে’- প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে, যেন পিছিয়ে না পড়ে দেশ।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাজেটের টাকায় উন্নয়নকাজ চলছে। সরকারের এসব উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে তদারকির জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্যকে জয় করতে হবে। তৃণমূলে মানুষের সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী কৌশল কাজে লাগাতে হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কার্যালয়ের ‘শাপলা’ হলে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকরা ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সরকারি কাজ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আইনি সুরক্ষাসহ আরও বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া চলমান মাদকবিরোধী অভিযানসহ বন্যা, বাঁধভাঙা ও পাহাড়ধস নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে। উদ্বোধনী দিনে ডিসিরা বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ পাবেন।
এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত ডিসিদের ৩৪৭টি প্রস্তাব থাকছে। ডিসিদের বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ছাড়া প্রশাসনকে গতিশীল করতে ও তৎপরতা বাড়াতে তিনি ডিসিদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেবেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, ডিসি সম্মেলন মাঠ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সম্মেলন।
এখানে ডিসিরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। জেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরতে পারেন।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন। এর পর সভা থেকে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও ডিসি সম্মেলনে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশ করা হবে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দিকনির্দেশনা নেবেন জেলা প্রশাসকরা।
পর দিন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী অধিবেশন।