৬ বছরের পুরো বেতন ত্রাণ তহবিলে দান সচিনের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, সোমবার, ২ এপ্রিল ২০১৮ | ৪৬০

তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচে দুনিয়া জুড়ে স্লোগান ছিল একটাই— ‘ধন্যবাদ ক্রিকেট ঈশ্বর’। রাজ্যসভা থেকে অবসরের পরেও আন্তরিক ধন্যবাদবার্তা পেলেন সচিন তেন্ডুলকর। খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে। সাংসদ হিসেবে ৬ বছরের বেতন ও অন্যান্য ভাতা মিলিয়ে পাওয়া প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করে দিয়েছেন সচিন।

নরেন্দ্র মোদীর দফতর চিঠি দিয়ে বলেছে, ‘দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজে অপরিসীম সাহায্য করবে এই অনুদান।’ রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হওয়ার পরে সচিন এবং অভিনেত্রী রেখার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সংসদে কালেভদ্রে আসেন তাঁরা। কিন্তু দেখা গিয়েছে, সংসদে নিয়মিত না এলেও সাংসদ তহবিলের টাকায় নিঃশব্দে কাজ করে যাচ্ছেন ‘লিটল মাস্টার’। যে কাজের ছোঁয়া পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গও।

সচিনের দফতর জানিয়েছে, সাংসদ হিসেবে দেশ জুড়ে ১৮৫টি প্রকল্পে টাকা দিয়েছেন তিনি। সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ ৩০ কোটির মধ্যে ৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে শিক্ষাগত পরিকাঠামোর উন্নয়নে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের গোবিন্দপুর-মকরামপুর স্বর্ণময়ী শাসমল শিক্ষা নিকেতনের জন্য ৭৬ লক্ষ ২১ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিলেন সচিন। সেই অর্থে পরীক্ষাগার, মেয়েদের কমন রুম-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার মহান্তির কথায়, ‘‘সচিন আমাদের কাছে ভগবান। কোথাও সাড়া পাচ্ছিলাম না। উনি টাকা দিলেন। ’’

ঝাড়গ্রামে গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের আশুই পল্লিমঙ্গল বিদ্যাপীঠ থেকে আদিবাসী ছাত্রাবাসের জন্য সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন প্রধান শিক্ষক তরুণকুমার চক্রবর্তী। ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন সচিন। প্রথম পর্যায়ের ১৫ লক্ষ টাকা এসে গিয়েছে। বাকি ৫ লক্ষ টাকা জেলাশাসকের কাছে রয়েছে।

আগামী মে মাসে ছাত্রাবাসটি চালু করার ব্যাপারে আশাবাদী স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেটি সচিনের নামে করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, “স্থানীয় সাংসদের সহযোগিতা পাইনি। সচিন সাহায্য না করলে ছাত্রাবাস হত না।”