টাঙ্গাইলে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন ফাইনাল মর্নিং ফুটবলের সমাপ্তি 

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৮৯

ফুটবলে গোল করতে সবাই গোলবারে শট নেয়। কিন্তু ঢাকা মোহামেডানের রাইটব্যাক টাঙ্গাইলের একসময়ের  ফুটবল রতœ গোবিন্দ চন্দ্র গোলবারে নয়, মেঘনা ফুটবল দলের গোলবারের সামনে ছোট্রপাসে বলটি রাখলেন। গোলবারমুখী চলন্ত ডিফেন্ডার উজ্জলের পায়ে লেগে গোলরক্ষক আলামীনকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়।

ফাইনাল ম্যাচের কাঙ্খিত গোলটি পেয়ে ব্রক্ষ্মপুত্র ফুটবল দল এগিয়ে যায়। গোল পরিশোধে চেষ্টায় উল্টো হতাশায় নিমজ্জিত মেঘনা ফুটবল দলের ডিফেন্স ভেঙে ব্রক্ষ্মপুত্র দলের মতিউর খেলার শেষ দিকে আরো ১টি গোল করে (২-০)খেলার জয় নিশ্চিত করে মর্নিং ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়। যদিও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন ম্যাচের অন্তিম মুর্হুতে মেঘনা দলের পক্ষে হান্ডবল সূত্রে পরিস্কার পেনাল্টি রেফারী হারুণ এড়িয়ে গেলে ব্যবধান কমানো যায়নি।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বৃষ্টিভেজা ভারী মাঠে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে ঈদগাহ ফুটবল এসোসিয়েশন আয়োজিত মর্নিং ফুটবলের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার বিতরন জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। 

প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন খেলায় দু’দলই নিজের ডিফেন্সকে শক্ত করে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রন নিতে চেষ্টা করেন। মধ্যমাঠ তুলনামূলক মেঘনা দলের নিয়ন্ত্রণে থাকলে ব্রক্ষ্মপুত্র ফুটবল দলের শক্তিশালী ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি। সংঘবদ্ধ আক্রমনের চেষ্টা ডিফেন্ডার আলহাজ ও গোলরক্ষক সুব্রত ধর দক্ষতার সাথে প্রতিহত করেন। 

প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে মেঘনা দলের ডিবক্সের বাইরে ফাঁকায় দাঁড়ানো গোবিন্দ চন্দ্র গোলবারে শট না নিয়ে গোলবারমুখী শট নিলে উজ্জলে পায়ে লেগে আত্বগাতী গোল হয়। খেলায় পিছিয়ে পড়ে মেঘনা ফুটবল দল গোল পরিশোর্ধের আপ্রাণ চেষ্টা স্টাইকারদের ব্যর্থতায় বঞ্চিত হয়। উল্টো খেলার শেষ দিকে ফাঁকা মাঠে বল পেয়ে মতিউর গোল করে(২-০) ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। ব্যবধান কমানোর সুযোগ মেঘনা দলের পেনাল্টির দাবী নাকচ করে দিলে ফলাফল পরিবর্তন হয় না। 

টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয় ব্রক্ষ্মপুত্র দলের  সুব্রত ধর এবং ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় গোবিন্দ চন্দ্র দাস। 

৮টি দল ২টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীকে স্বরণে রেখে নদীর নামেই দলগুলো। “ক” গ্রুপে মেঘনা, লৌহজং, সুরমা ও পদ্মা এবং “বি” গ্রুপে ব্রক্ষ্মপত্র, যমুনা, কর্ণফুলী ও ধলেশ্বরী। 

ব্রক্ষ্মপুত্র ফুটবল দলঃ ডাক্তার নজরুল ইসলাম, জাহিদ তারেক খান জুয়েল(অধিনায়ক), বজলুর রহমান, গোবিন্দ চন্দ্র সরকার, সুব্রত ধর, মতিউর, মিশু, আলহাজ, সজিব, হালিম, ছানোয়ার, লিটন ও উৎপল কর্মকার। মেঘনা ফুটবল দলঃ মকুবল হোসেন(এসিল্যান্ড),ডাক্তার হায়দার আলী(অধিনায়ক), ডক্টর পিনাকী দে,ডাক্তার শরিফুল ইসলাম, ইফতেখারুল অনুপম, ডাক্তার আব্দুল্লাহ, আরিফ আকন্দ, সংগ্রাম, পবিত্র, আবু সুফিয়ান উজ্জল, হাবিব, আল আমিন কাজী, ইমতিয়াজ ও দরুল হুদা। 
রেফারীঃ হারুন অর রশীদ, সহকারী রেফারীঃ মমিনুল ইসলাম ও মমিনুর রহমান