ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার হর্ণ এর শব্দে শহরবাসী অতিষ্ট

মির্জাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | ৬৮৪

ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার হর্ণ এর শব্দে মির্জাপুর শহরবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন রিকশায় হর্ণ না বাজিয়ে বেল লাগানোর জন্য দাবী করেছেন।

মির্জাপুর পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মির্জাপুর শহরে ছয় শতাধিক রিকশা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সংখ্যা চার শতাধিকের বেশি। পৌরসভা থেকে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত তিন শতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও দেড় শতাধিক পায়ে চালিত (পেডেল) রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

লাইসেন্স দেয়ার সময় প্রতিটি রিকশার চালক ও মালিককে রিকশায় বেল লাগানোর জন্য অনুরোধ করা হয় বলে সূত্রটি জানায়।
বুধবার দুপুরে মির্জাপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাটারি চালিত অধিকাংশ রিকশায় মোটর সাইকেলের মত হর্ণ লাগানো হয়েছে। অনেক রিকশায় হর্ণ এর সাথে বেলও রয়েছে। কিন্তু চালকেরা ইচ্ছে করেই বেল না বাজিয়ে হর্ণ বাজাচ্ছেন। এতে একদিকে হর্ণের শব্দে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে এলাকায় শব্দ দূষণ বেড়ে গিয়েছে। 

মির্জাপুর বাজারের মেইন রোডের ব্যবসায়ী আলমগীর মৃধা বলেন, ‘চালকেরা এত জুড়ে হর্ণ চেপে ধরে রিকশা চালায় যেন গাড়ী চালাচ্ছে। তাঁদের অনুরোধ করে কোন লাভ হয়না।’

পঞ্চগড় থেকে মির্জাপুরে থেকে রিকশা কিনে তা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০)। তিনি জানান, রিকশা চলাচলের জন্য সাধারণত বেল বাজানো হয়। কিন্তু অটোরিকশার গতি বেশি এজন্য তাঁর রিকশায় হর্ণ লাগানো হয়েছে। বেল এর চেয়ে হর্ণে শব্দ দূষন বেশি হয় তা জেনেও তিনি চালানোর সুবির্ধার্থে রিকশায় হর্ণ লাগিয়েছেন।

মির্জাপুরের ইচাইল গ্রামের রিকশা চালক (নিজেই মালিক) ফজলু মিয়া বলেন, ‘বেলের শব্দে মানুষ সরবার চায়না। এজন্যই হর্ণ নাগায়ছি। বেশি শব্দে ক্ষতি বেশি। কাইলক্যাই বেল লাগিয়া ফেলুম।’

মির্জাপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকী বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে মির্জাপুর থানা পুলিশ অটোরিকশায় হর্ণ লাগানোর কারণে বেশ কিছু রিকশা আটক করেছিল।

পরে রিকশার মালিকেরা বেল লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। এরপর আবারও সেই হর্ণ লাগাচ্ছেন মালিকেরা। এতে প্রতিনিয়ত এলাকায় শব্দ দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে তাঁরা পুনরায় বেঠকে বসবেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে