খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রির্পোটার
প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০১৯ | ৫৩৬

টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় বোরো চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ।

চাল সংগ্রহে সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা করে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (টিটু) দূর্নীতির আশ্রায় নিয়ে এরই মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

ঘুষ, দূর্নীতি,অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতি নিম্ন মানের চাল সংগ্রহ করে এ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। এ ঘটনার চাল কল মালিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলমসহ অন্যান্য মিল মালিকগন অভিযোগ করে বলেন ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (টিটু) দু-বছর আগে এখানে যোগাযোগ করার পর থেকে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকায় তিনি কাউকে পাত্তা দেন না এবং সে নিজেকে কেন্দ্রীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সাংগাঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে মিল মালিকদেরকে আতংকে রাখে।

অফিস সুত্রে জানা যায় সরকারী ভাবে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বোরো চাল সংগ্রহে ৪৪০২ মে.টন চাল বরাদ্দ আসে। খাদ্য অধিদপ্তরে চলতি মৌসুমের ৩১ আগষ্টের মধ্যে চাল সরবারাহ করার জন্য চাল কল মালিকদের নির্দেশনা দেয়। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভাগীয় নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

কিন্তু সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।  ঘাটাইল উপজেলাতে ৯১ টি লাইসেন্সধারী মিল মালিকদের নিকট জেলাখাদ্য নিয়ন্ত্রন বরাদ্দ দিয়ে থাকেন ।

কিন্তু খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃজাহাঙ্গীর হোসেন (টিটু) মিল মালিকদের কাছ থেকে কয়াল সাত্তারের মাধ্যমে অগ্রিম ঘুষ বাবদ টনপ্রতি দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা গ্রহন করিয়া গাড়ী থেকে চাল নামান । অগ্রীম ঘুষ না দিলে কোন মিল মালিকের গাড়ীর চাল নামান না । বিভিন্ন অজু হাতে গাড়ীর চাল ফেরত পাঠান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, উপজেলার কয়েকজন চাল কল মালিক জানান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (টিটু) ও সিন্ডিকেট কালো বাজারী নিরঞ্জন ভৌমিকের মাধ্যমে উওর বঙ্গ থেকে নিম্ন মানের চাল এনে ৩১ টি মিলের নামে চাল ক্রয় করে লভ্যাংশ ভাগভাগি করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছেন।

সরেজমিনে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফনে তিনি জানান  অফিসের কাজে ঢাকা আছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মিল মালিকদের অভিযোগ সত্য বলে জানান।

এ ব্যাপারে জেলাখাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মোঃকামাল হোসেনের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। এ ধরনের যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে সে ব্যাপারে যাচাই বাছাই করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।