মির্জাপুরে প্রাইভেটকারসহ আন্ত:জেলা ছিনতাই দলের তিনজন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চেক প্ষ্টে বসিয়ে আন্ত:জেলা ছিনতাই দলের তিনসদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বহেরাতলা গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে কদ্দুছ মাতাব্বর (৫২), চাদপুরের কচুয়া উপজেলার বড় কুলাগাও গ্রামের চান মিয়ার ছেলে তৈয়ব আলী (৬০) ও একই এলাকার কালাম মিয়ার ছেলে খবির উদ্দিন (৫৫)।
মঙ্গলবার বেলা বারটার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই চেকপোষ্ট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় পুলিশ ছিনতাইকাজে ব্যবহৃদ প্রাইভেটকারটিও আটক করেন।
জানা গেছে, কদ্দুছ মাতাব্বর সহযোগীদের সহায়তায় তার নিজের প্রাইভেটকার নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ছিনতাই করে থাকে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় মেদি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া ও এক মহিলাকে পুলিশ পরিচয়ে আটক করেন। এক পর্যায় তাদের সঙ্গে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে তারা তাদের ছেড়ে দিয়ে প্রাইটেকারযোগে ঢাকার দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় জনতা তাদের পিছু নিতে পারে ভেবে কিছুদুর যাওয়ার পর প্রাইভেটকারটি টাঙ্গাইলের দিকে রওনা করে। এসময় খবর পেয়ে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারিছ ও সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) রেজাউলের নেতৃত্বে পুলিশ মহাসড়কের গোড়াই এলাকায় যানবাহনে তল্লাসীর কার্যক্রম শুরু করেন।
বেলা বারটার দিকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ঢাকা-মেট্রো-গ-১১-২৪৮৫ প্রাইভেটকারে থাকা তিন ছিনতাইকারীসহ কারটি আটক করেন। এসময় তাদেরকাছ থেকে নকল একজোড়া হাতের বালা, একটি চেইন ও কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।
আটককৃতদের মধ্যে চালক কদ্দুছ মাতাব্বরের নামে ফরিদপুরের কতোয়ালী থানায় দস্যুতা (মামলা নম্বর ৪১(৮)(১৬), সাভার থানায় দ্রুত বিচার আইনে (মামলা নম্বর ৮৯ (১১)২০১০, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় ভূয়া পুলিশ মামলা নম্বর ৪ (৬)২০১৭ ও ফরিদপুরের মধুখালী থানায় ভূয়া পুলিশ পরিচয়ে মামলা নম্বর ১(১০)২০১৪ সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে মির্জাপুর থানা পুলিশ জানিয়েছেন। দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের কালিয়াকৈর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্ত:জেলা ছিনতাই দলের সদস্য। এরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে নিরিবিলি জায়গায় নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করে থাকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কদ্দুছ মাতাব্বরের নামে বিভিন্ন থাকায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
