বাসাইলে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ইউএনও


টাঙ্গাইলের বাসাইলে মিম আক্তার (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না। মিম উপজেলার দেউলী পূর্বপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে ও দেউলী খন্দকার নুরে আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা যায়, সোমবার (৩০ অক্টোবর) মিম আক্তারকে পাশের এলাকা জশিহাটী গ্রামের সৌদি প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে তার পরিবার।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে বরসহ তার আত্মীয়রা পালিয়ে যায়।
এদিকে ওই স্কুলছাত্রীকেও লুকিয়ে ফেলে তার পরিবার। পরিবারের লোকজনও উধাও হয়। এমতাবস্থায় মেয়েটির ফুফুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সরকারিকাজে অসহযোগিতা করেন।
সরকারিকাজে অসযোগিতা করার অপরাধে তাকে ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রায় এক ঘন্টা পর মেয়েটিকে হাজির করা হয় ওই কর্মকর্তার সামনে। বিয়ে বাড়িতেই ওই কর্মকর্তা বাল্যবিয়ের বিভিন্ন কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা পর মেয়েটির পরিবার তাকে বাল্যবিয়ে দিতে অস্বীকার করেন।
পরে মেয়েটির বাবা-মা তাকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা দেন। এসময় কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা রাজিক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা খান বাহাদুর উপস্থিত ছিলেন ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বিষয়টি স্বীকার করে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।