ভাগ্নির মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে খালার আত্মহত্যা


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চার বছর বয়সী ভাগ্নি কনিকার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে খালা গলায় ফাস দিয়ে আতœহত্যা করেছে।
ভাগ্নি পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনায় ভাগ্নিকে লালন পালনকারী সতের বছর বয়সী খালা শারমিন গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের হাতিম টাউন এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত খালা শারমিন বাওয়ার কুামারজানী গ্রামের শাজাহান মিয়ার মেয়ে।
জানা গেছে, নিহত কনিকার মা সাহিদা বেগম ও বাবা কবির হোসেন গামেন্টেসে চাকুরী করায় ভাড়া বাসা নিয়ে অন্যত্র বসবাস করেন। মা বাবা দুজনই কর্মজীবি হওয়ায় মেয়ে কনিকাকে তার নানার বাড়ি রেখেছিলেন।
সেজন্য কনিকাকে তার খালা শারমিনই লালন পালন করতো। বৃহস্পতিবার দুপুরে সকলের অজান্তে কনিকা বাড়ির পাশে নদীর পানিতে পড়ে যায়।
খোজাখুজির পর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় খালা শারমিন ঘরের ভেতর গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মর্মান্তিক এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে সন্ধা পৌনে সাতটায় ঘটনাস্থরে থাকা মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক মো. বদিউজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ থানায় না এনে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।