মির্জা ফখরুলের গাড়িতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের হামলা

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, রোববার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৪৭৩

মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে বঞ্চিত প্রার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মনোনয়নবঞ্চিত এহছানুল হক মিলন, তৈমুর আলম খন্দকার ও সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে ভাঙচুর করেন।

এসময় তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে লাথি মারেন, ধাক্কা দেন, ইট-পাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে যায়। আহত হন একজন সংবাদকর্মীও।

তারই ধারাবাহিকতায় মধ্যরাতে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িতে হামলা করেছে মনোনয়ন বঞ্চিত সমর্থকরা। এসময় গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় এবং চালক হেলাল আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত আড়াইটায় মির্জা ফখরুল গুলশানের চেয়ারপার্সনের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় তার গাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়। দীর্ঘ ৩০ মিনিট চেষ্টা করেও তিনি কার্যালয় থেকে বের হতে পারেননি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় রাত ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাকর্মী চেয়ারপার্সনস সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) একটি মানববেষ্টনী তৈরি করে তাকে ঘিরে গুলশান-২ নম্বর চত্বরের দিকে নিয়ে যান। সেসময় মির্জা ফখরুলের ব্যক্তিগত গাড়িটি কার্যালয় থেকে খালি বেরিয়ে মূল সড়ক থেকে ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায়।

এর আগে সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা আন্দোলন করে।

জানা যায়, মনোনয়নবঞ্চিত এহছানুল হক মিলনের অনুসারীরা ফখরুলের পথ আটকে তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন গোপালগঞ্জ-১ আসনের সেলিমুজ্জামান সেলিম ও মানিকগঞ্জে প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুর কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

বিক্ষোভ চলাকালীন সময় ভেতরেই ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সিনিয়র কয়েক নেতা।