রাজস্ব প্রশাসনের জনবল নিয়োগ পরীক্ষার নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে অবৈধ ভাবে

অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায়ে নিয়োগ ও চাকুরী করার অভিযোগ

শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৮ | ২৯৬

সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেলার রাজস্ব প্রশাসনের জনবল নিয়োগ পরীক্ষার নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে নাগরপুর উপজেলার সজীব পারভেজ নামের জনৈক প্রতারকের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায়ে পরীক্ষায় নিয়োগ পাওয়া ও চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে।

এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে গত রবিবার (১১ নভেম্বর) জেলার কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের জনৈক মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার বেকরা গ্রামের নুরুল ইসলাম পারভেজ এর ছেলে সজীব পারভেজ নিজেই সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেলার রাজস্ব প্রশাসনের জনবল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে দরখাস্ত করে। সময় মত নিয়োগ পরীক্ষার কার্ড (রোল নং-১৩৮৫) পেয়ে প্রতারক চক্রের সহযোগীতা নিয়ে নিজের পরীক্ষা জনৈক ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া (খালপাড়) গ্রামের আঃ হালিমের ছেলে শাহ আলমকে দিয়ে অবৈধ ভাবে পরীক্ষা দেওয়ায়।

এব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেন কালিহাতী উপজেলার বেতডোবা গ্রামের শাজাহানের ছেলে রনি। বিনিময়ে সজীব পারভেজ রনিকে পরীক্ষার আগে ৫ লাখ টাকা দেয়। নিয়োগ পরীক্ষার চিঠি আসে রনির নিকট। রনি বলে এখন আমার টাকা দেও। তখন সজীব পারভেজ টাকা দিতে গড়িমসি করিলে চিঠিটি আটকিয়ে রাখে রনি। তখন অন্য কোন উপায় না দেখে সজীব পারভেজ বাধ্য হয়ে রনিকে আরো ৫ লাখ টাকা দেয় বলে অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় । বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সজীব গ্রামের বহু লোকের কাছে বলে বেরাচ্ছেন টাকায় করে কাম মিছা মরদের নাম।

অভিযোগকারী মনির হোসেন জানান, এদের সাথে বড় ধরনের একটি চক্র আছে যা অনেক শক্তিশালী। এদেরকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে জিজ্ঞাসা করে বা সঠিক তদন্ত করলে সকল সত্য উদ্ঘাটন হবে এবং নিয়োগ পরীক্ষার লেখাই প্রমাণ করবে এটা সজিবের লেখা নয়। শাহ আলম নামের লোকের লেখা।

এভাবে সজীব পারভেজ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে অন্যকে দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ায়ে নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে নাগরপুর উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত আছে।

এ বিষয়ে সজীব পারভেজ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।