হুমকির মুখে মসজিদ, মাদ্রাসা ও বসতবাড়ী
কালিহাতীতে বাংলা ড্রেজারে বালু উত্তোলন

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেংজানী নদীতে অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণ চলছেই। এতে হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা ও বসতবাড়ী। উপজেলার ধলাটেংগর, টুনিমগড়া ও আনালিয়া বাড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে আনালিয়া বাড়ী গ্রামের জামাল সরকার ওরফে শাহজাহানের ছেলে শফিকুল ইসলাম।
এ বালূু উত্তোলন করে যেমন একদিকে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শফিকুল অন্যদিকে যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে বসতবাড়ী, মসজিদ ও মাদ্রাসা। আবার ওই সকল এলাকায় বিভিন্ন স্থানে নদীর পারে বসতবাড়ীগুলো বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় সার্বক্ষণিক শঙ্কায় রয়েছে জনগণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ শফিকুল প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও এলেঙ্গার পৌর ভূমি নায়েবকে ম্যানেজ করে তার এ অবৈধ বাংলা ড্রেজার দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপ লাগিয়ে এ বালু উত্তোলন করা হয়। অথচ ২০১০ সালের বালু মহল আইনে বলা আছে বিপননের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থানে ও নদীর তলদেশ থেকে বালু মাটি উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু এ নির্দেশনাগুলোর কোন তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন শফিকুল বাংলা ড্রেজার চালিয়ে উত্তোলন করছে বালু, হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, বালু উত্তোলণের ব্যবসা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানালেও তা বন্ধ হয় না। শুধুমাত্র ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলে ওই কয়েকদিন বাংলা ড্রেজার বন্ধ থাকে, কিন্তু সুযোগ বুঝেই তা আবার চালু করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি এলেঙ্গা পৌর ভূমি নায়েবকে সরেজমিনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ওই ভূমি নায়েব সরেজমিনে গিয়ে এর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মৌখিকভাবে অবৈধ মাটি উত্তোলনের পাকা বন্দোবস্ত করে আসেন এবং সাংবাদিকদের জানান ওই জায়গায় বাংলা ড্রেজার পাওয়া যায় নাই।
এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।