হারানো আসন ফিরিয়ে আনতে চান সাঈদ সোরহাব


টাঙ্গাইল ৭ মির্জাপুরের হারানো আসনটি ফিরিয়ে আনতে চান বিএসপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সাঈদ সোরহাব। বারবার দলীয় প্রার্থী এই আসন থেকে পরাজিত হওয়ার পর সাঈদ সোরহাব এই আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
মির্জাপুরের এই আসনটি এক সময় বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বারবার বিএনপি প্রার্থী এখান থেকে পরাজিত হবার পর সেই বক্তব্যটি পুরনো হয়ে গেছে। ৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের হেবিওয়েট প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করে বিএনপির খন্দকার বদর উদ্দিন নির্বাচিত হন।
৯৬ সালে মনোনয়ন পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সাঈদ সোরহাব। এক সপ্তাহ পর মনোনয়ন পরিবর্তন করে দেওয়া হয় তখনকার উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে। নির্বাচনে আবুল কালাম সিদ্দিকী অল্প ভোটে জয়লাভ করে।
তারপর থেকে বিএনপি প্রার্থীর পরাজয়ের ব্যাবধান আরো বারতে থাকে।
সাঈদ সোরহাব এতে ধের্য়্য না হারিয়ে দলীয় কর্মকান্ডে আরো বেশি করে সম্পৃক্ত হতে থাকেন। একসময় দলীয় চেয়ারপার্সনের আস্থাভাজন হয়ে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করেন সাঈদ সোরহাব।
ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে এলাকায় সাঈদ সোরহবের রয়েছে বেশ সুনাম। তার বাবা হাবিল উদ্দিন ছিলেন প্রথমে সাব রেজিষ্টার এবং পরে জেলা রেজিষ্টার। চাচা মাইন উদ্দিন ছিলেন মির্জাপুর সদর ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের চেয়াম্যান। তার বড় ভাই মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ। বংশগত গৌরব আর ঠান্ডা মস্তিস্কের মানুষ হিসেবে সারা মির্জাপুরে এক নামে পরিচিত সাঈদ সোরহাব।
মির্জাপুর আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বারবার পরাজিত হওয়ায় তৃনমুল পর্যায় নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন মুখের দাবী উচ্চারিত হওয়া শুরু হয়েছে। তাদের দাবী অনুযায়ী বারবার পরাজিত হওয়া প্রার্থী আর তারা চায়না। নতুন একজনকে দলের মনোনয়ন দেওয়ার দাবী এখন জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে।
বর্তমানে দলের একটা বৃহত অংশ সাঈদ সোরহাবকে সামনে রেখে দলীয় কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। তারা মনে করেন মির্জাপুর আসন থেকে সাঈদ সোরহাবকে মনোনয়ন দিলে হারানো এই আসনটি পুণরায় বিএনপির ঘরে আসবে।
সাঈদ সোরহাব বলেন ছাত্রজীবন থেকে জীবনের ঝুকি নিয়েও বিএনপির নীতি আদর্শের সাথে ছিলাম এখনও আছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে এক সময়কার বিএসপির ঘাটি হিসেরব পরিচিত এই আসনটি ফিরিয়ে এনে বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। কারন এখন তৃনমুর পর্যায় থেকে শুরু করে বিএনপির নেতা কর্মীরা আমার সাথে আছে।