ভূঁয়া সমিতির নামে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:০৬ পিএম, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮ | ৪২৯

নাটোরের গুরুদাসপুরে যুব উন্নয়ন সমিতির নামে ৫শ’ শেয়ার হোল্ডারের কাছ থেকে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে গেলে শেয়ার হোল্ডাররা জানান, উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খামার পাথুরিয়া গ্রামের প্রভাবশালী ছাদেক মেম্বারের ছেলে আব্দুল জলিল ওরফে মোজাম, মছের উদ্দিনের ছেলে জালাল ও মশিউর রহমান নামে তিন ব্যক্তি ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।

২০১৩ সালে ৫শ’টি শেয়ার নিয়ে খামার পাথুরিয়ায় যুব উন্নয়ন সমিতি নামে সমিতি গঠণ করে অতিরিক্ত লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সদস্যদের কাছ থেকে পার শেয়ারে সপ্তাহে ২০ টাকা করে সঞ্চয় নেওয়া হয়। প্রতি চার মাস অন্তে ওই টাকার সুদে খাটিয়ে লভ্যাংশের টাকাসহ সদস্যদের সঞ্চয় বহিতে জমা করা হয়।

এতে হিসাব মতে দেখা গেছে প্রতিটি শেয়ার লভ্যাংশসহ প্রায় ৯হাজার টাকা করে পায়। এতে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা জমা হয়েছে বলে তারা জানায়। শেয়ার হোল্ডাররা শেয়ারের টাকা চাইতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয় বলে জানা যায়। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করেছে ওই চক্র।

গত শনিবার ১০টি শেয়ারের মালিক শামীর তার প্রাপ্য ৯২ হাজার ২৮০ টাকা চাইতে গেলে বাক-বিতন্ডা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার বাড়ীতে হামলার অভিযোগ করেন ওই চক্রের জালাল। ওই সমিতির শেয়ার হোল্ডার শামীরসহ অন্ততঃ ৮জনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, তাদের কোন টাকা দেওয়া হয়নি। বরং টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন হুমকি দেয় তারা।

ওই চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতেও সাহস পাচ্ছেনা তারা। তবে সোমবার এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগি শামীর। সমিতির শেয়ার হোল্ডার শামীর আরো জানায়, টাকা চাইতে গেলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় মোজাম ও জালাল।

এ ঘটনায় সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল জলিল ওরফে মোজাম জানান, সমিতির কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই। সদস্যদের মধ্যে ঋণ দেওয়া হতো।

এতে প্রতিটি শেয়ারের জন্য প্রায় ৯ হাজার টাকা পাওনা হয়। তার সমস্ত টাকা সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।