নন্দীগ্রামে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করলো পাষন্ড স্বামী


ইট ভাঙ্গার কাজ করতেন কিরণী বালা (৪৩)। স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন তিনি। পাষন্ড স্বামী টাকার পাগল। বিয়ে করেছেন তিনটি। স্বামীর অত্যাচারে এক স্ত্রী ডিভোর্স দিয়েছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন অন্যের বাড়িতে। তৃতীয় কিরণী বালা থাকতেন স্বামীর সাথে।
ইট ভাঙা এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করে টাকা স্বামীকে দিতেন। তবুও পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। অবশেষে পরকীয়া সন্দেহে তৃতীয় স্ত্রী কিরণী বালাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ব্লেড দিয়ে পেটে আঁচড় কেটে হত্যা করলো পাষন্ড স্বামী সুরেশ প্রামনিক। বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভার কালিকাপুর গ্রামে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত কিরণী বালার স্বামী সুরেশ প্রামনিককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে পাষন্ড স্বামী। স্ত্রীর সাথে অন্য কারো পরকীয়া আছে, এই সন্দেহেই স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) প্রতিদিনের মতো রাতের খাবর খেয়ে স্বামী-স্ত্রীয় নিজেদের ঘরে শুয়ে পড়েন।
সে রাতেই নিজ ঘরে স্ত্রী কিরণী বালাকে ধারালো ব্লেড দিয়ে পেটে আঁচড় কাটে স্বামী। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এবং হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত সন্দেহে নিহতের স্বামী সুরেশ প্রামনিককে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকেই সুরেশ দাবি করছিল, গভীর রাতে কে বা কাহারা তাঁর শয়ন ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশের হাতে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে পাষন্ড স্বামী। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্ত্রী হত্যাকারী স্বামীকে আটক করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো বেøড উদ্ধার করা হয়েছে।