মির্জাপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ


মির্জাপুরে আটিয়া মামুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে নির্বাচন বাতিল চেয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সভাপতি প্রার্থী।
জানা গেছে, বুধবার ছিল আটিয়া মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি পদের নির্বাচন। এতে প্রতিদ্বন্দিতা করেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল এবং শাহিন মিয়া। সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ভোট গ্রহন চলে।
নির্বাচনে বৈধ ভোটার হিসেবে তিনজন শিক্ষক ও পাঁচজন অভিভাবক প্রতিনিধি ভোট প্রদানের কথা থাকলেও দাতা সদস্য হিসেবে আরও একজন ভোট প্রদান করেন। এতে আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল পান ৫ ভোট এবং শাহিন মিয়া পান ৪ ভোট। সভাপতি প্রার্থী শাহিন মিয়া এর প্রতিবাদ করেন। ওই বিদ্যালয়ে কোন দাতা সদস্য নেই।
পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে দাতা সদস্য মনোনীত করার নিয়ম থাকলেও নির্বাচনের দিনও অধিকাংশ সদস্যই জানেন না হাজী আব্বাস নামে এক ব্যক্তি কিভাবে দাতা সদস্য মনোনীত হয়েছেন। আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জয়ী করার জন্য জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক গোপনে আব্বাসকে দাতা সদস্য বানিয়ে ভোট প্রদান করিছেন বলে শাহিন মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
দাতা সদস্য মনোনয়নের ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সভাপতি প্রার্থী শাহিন মিয়া, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রতিনিধি নাছির উদ্দিন, বর্তমান অভিভাবক প্রতিনিধি ফারুক হোসাইন, শিক্ষক প্রতিনিধি সিনিয়র শিক্ষক আবুল হোসেন, হাসিনা বেগম ও আমিনুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, দাতা সদস্য নিয়োগের এব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচনের ৬ মাস পূর্বে দাতা সদস্য মনোনীত করতে হয়। সকল প্রকার নিয়ম কানুন অনুসরণ করেই দাতা সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন মোল্লাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।