নন্দীগ্রামে মহাসড়কের “দু”পার্শে

ড্রেনের সংস্কার না করায় বোরো ধান পানির নিচে

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, রোববার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ | ৪৫৯

বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম বাসষ্ট্যান্ডের দুই পার্শ্বে ও কৈগাড়ী নামক স্থানে ড্রেনের সংস্কার না করায় চলতি বোরো মৌসুমে অতি বৃষ্টি হওয়ায় সেসব পানি নিস্কাসন হতে পারছে না। ফলে বোরো জমিতে পানি জমে পঁচে যাচ্ছে পাকা ধান।

জানা যায়, নন্দীগ্রাম-শেরপুর রাস্তা থেকে ফোকপাল সড়ক পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পার্শ্বে সাবেক মেয়র সুশান্ত কুমার (শান্ত) পৌর তহবিল থেকে জাকোয়ান ফার্মেসীর সামনে কিছু ও ভাই বোন হোটেলের সামনে এবং বাধঁন সিনেমা হলের সামনে কিছু পরিমান পাকা ড্রেনের কাজ করে, যার ওপর কোথাও কোথাও ঢাকনা দিলেও বেশিরভাগ জায়গায় ঢাকনার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।

বর্তমানে এসব ড্রেনে ময়লা জমে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় কোন ভাবেই পানি নিস্কাসন সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে নিজের উদ্দ্যেগে ব্যবসায়ীরা তাদের মত করে ড্রেন করছে । আর তার পরেও অনেক জায়গায় ড্রেন করা হয়নি। আবার অনেকে মাটি ঢেলে ড্রেন বন্ধ করে দিয়েছে।

বর্তমানে দেখা গেছে “দু” পার্শ্বের ড্রেনের পানি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বোরো মৌসুমে এখন পর্যন্ত যে টুকু পানি হয়েছে সব পানিই ময়লা আর্বজনার কারণে ড্রেনের মধ্যে জমা হয়ে আছে। ফলে পৌর শহরের দামগাড়া, রিধইল, কাথম, কৈগাড়ী মাঠের ধানে পানি জমে পঁচে যাচ্ছে। বর্তমানে “দু’’ড্রেনের মধ্যে ময়লা আর্বজনা জমে পুর্ণ হয়ে গেছে। এখনি প্রবল বর্ষা শুরু হলেই ওই ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কশন হওয়া একে বারেই সম্ভব নয়।

এলাকাবাসী দাবি তুলেছে মহাসড়কের দুই পার্শ্বে ড্রেন পরিস্কার করে তাদের ফসল রক্ষা করার যেন ব্যাবস্থা করা হয় । এদিকে ইতিমধ্যেই অনেক কৃষক ধান কাটতে শুরু করেছিল। এসপ্তাহে উপজেলা জুড়ে ধান কাটা শুরু হতো কিন্তু গত কয়েকদিনের ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে ধান গুলো শীষ থেকে ঝড়ে পড়েছে, ধান নুয়ে পড়ে পানির উপড় ভাসছে। সেসব পাকা ধান থেকে গাছ বের হচ্ছে। ফলে কাঙ্খিত ফলন নিয়ে শংকায় রয়েছে কৃষক।

এবার চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি অফিস থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে ২০ হাজার ৪শ ৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল।

প্রথম দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় ও কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছিলো সোনালী ধানের শীষ। পড়ে যাওয়া ধান গুলোতে আর আশানুরুপ ফলন হবেনা।

ফলে কৃষকদের অনেক টাকা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা ধান পুরোপুরি কেটে ঘরে তোলার আগেই কাল বৈশাখী ঝড়ে সব শেষ হয়েছে। এদিকে ধানের সাথে সাথে কৃষকদের চাষকৃত মরিচ, বেগুন সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে।

একদিকে ধান অন্যদিকে সবজি এই দুইটি ফসল ঝড়ো বৃষ্টির কারনে একসাথে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অনেক টাকা লোকশান হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা । এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শারমিন আখতার জানান, আমি ইতিমধ্যেই ড্রেন পরিদর্শন করেছি। এবং ড্রেন পরিস্কার করার জন্য পৌর মেয়র কে বলা হয়েছে।