মধুপুরে
ফাঁ উচ্চারণ না পারায় মাদ্রাসা শিক্ষকের প্রহারে ছাত্র হাসপাতালে


টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের আকাশী শেওড়াতলা এলাকার উলূমে দ্বীনিয়াহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ১২ বছর বয়েসের ছাত্র রিফাত হোসাঈন ক্লাশের পড়া দিতে গিয়ে ফাঁ শব্দ উচ্চারণ করতে না পারায় রিফাত কে শ্রেণী শিক্ষক ফজলুর রহমান বেধড়ক প্রহারের ফলে বর্তমানে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
গত সোমবার এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসীরা জানান, স্থানীয় নজরুল ইসলাম নামের একব্যাক্তি ২০০৮ সালে উলূমে দ্বীনিয়াহ্ নামে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই এখন পর্যন্ত কমিটি বিহীন ভাবেই চলছে মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম।
শ্রেণী শিক্ষক ফজলুর রহমান হেফজ বিভাগের ১২ বছর বয়েসের ছাত্র রিফাত হোসাঈন কে বেধড়ক প্রহার করায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে।
আহত রিফাতের বাবা নুরুজ্জামান জানান, আমার ছেলেকে যে ফজলু মাষ্টার মারছে তার সঠিক বিচার চাই। এলাকার শিক্ষক হারুন অর রশিদ,দলিল লেখক আব্দুল মান্নান সহ আরো অনেকে জানায়, রিফাত ছেলেটির ২ বছর বয়সে মা মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে তাকে মানুষ করে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এবং কী এলাকার সকলেই এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে শিক্ষক ফজলুর রহমানের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছে। এবং কী তারা আরো জানান, এই শিক্ষক এর আগেও বহুবার অনেক ছাত্রকে মারপিট করলে এলাকায় কয়েক দফায় শালিস বৈঠক হয়েছে। এই সকল ঘটনা ঘটানোর পরেও প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা নজরুল কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম এর সাথে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকের পরিচয় শুনে সাংবাদিকদের সামনে আসেনি। এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র এর চিকিৎসক রাশেদুজ্জামান জানান, চিকিৎসা দেওয়ার পর বর্তমানে ছেলেটি আশংকা মুক্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয় টি আমি অবগত নই তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।