বগুড়ায় ৮৬ বস্তা চাল উদ্ধার


বগুড়ায় পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮৬ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার(২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বগুড়া সদর উপজেলার ঘোলাগালীর সার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের গুদাম থেকে ২৭ বস্তা এবং গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদের বাড়ি থেকে ৫৯ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়।
সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য তারা নিজস্ব গুদামে নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিজান নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় বগুড়া সদর ও গাবতলী মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১০ টাকা কেজি চালের ২৭ বস্তা ঘোলাগাড়ি এলাকার সার ব্যাবসায়ী মিজানুরের গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে ওই চাল উদ্ধার করে। এসময় মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মন্ডল। তিনি এবিষয়ে জানান, কীভাবে ওই চালগুলো মিজানুরের কাছে গেল তা তিনি জানেন না। তবে যাদের মধ্যে চালগুলো বিতরণ করা হয়েছিল তারাই হয়তো বস্তাসহ ওই চালগুলো বিক্রি করেছিল।
অপর দিকে গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদের বাড়ি থেকে ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল ৪৯ বস্তা এবং ভিজিডির চাল ১০ বস্তা উদ্ধার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, চালগুলো কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে শহিদুল ইসলাম শহিদ কিনে তার ভাই জাহিদুল ইসলাম জাহিদের গোডাউনে রেখেছিল। রাতের আঁধারে চালগুলো পাচার করা হতো।
এ ঘটনায় ২৮ মার্চ গাবতলী মডেল থানায় বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সোহেল রানা বাদী হয়ে শহিদুল ইসলাম শহিদ ও তার ভাই বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দিয়েছেন।