মধুপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার নির্মাণের অভিযোগ

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, শনিবার, ২৪ মার্চ ২০১৮ | ৫১১

টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর এলাকার নরকোনা-আশুরা পাকা রাস্তা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

টাঙ্গাইল-মধুপুর মহাসড়কের পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসীর বহুল প্রত্যাশিত নরকোনা হতে আশুরা পশ্চিমপাড়া মসজিদ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মানের কাজে নিয়ম বহির্ভুত নিম্মমানের ইট, বালু, খোয়া, ও বিটুমিন (পিচ) দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যা সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছেনা।

যার ফলে সড়কের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তার কবলে পড়ছে অত্র এলাকার জনগন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নরকোনা-আশুরা সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। যে ভাবে কাজ করা হচ্ছে তাতে তিন মাস চলার পর রাস্তাটি ভেঙ্গে পিচ উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকাবাসী রাস্তার কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে বাধা দিলে ঠিকাদার ও তার কর্মীরা বলে এ সময় ভাল ইট পাওয়া যাচ্ছেনা।

তাই কাজে বাধা দিলে রাস্তাা এ গ্রাম হতে কেটে অন্য জায়গায় করব। বাংলাদেশ ট্রাকড্রাইভার্স মধুপুর শাখার সভাপতি মো. আঃ আজিজ অত্র এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে রাস্তাটি যাতে ভাল মানের হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। এতেও কোন কাজ হয়নি। তিনি আরো জানান, রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় এবং পুকুরের পাশের্ রাস্তার জমি থাকা সত্যেও মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে রাস্তা করা হচ্ছে।

এলাকার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক র্কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় ঠিক মতো রুলার না বসিয়ে ফিনিসিং দেয়া হচ্ছে। এলাকার মো. আলতাফ হোসেন জানান, আমাদের রাস্তা যাতে ভাল হয় সে জন্য পৌর মেয়রের কথায় আমার এক লক্ষ টাকার গাছ কর্তন করে নিজ দখলীয় জমি রাস্তার জন্য দিয়েছি তবুও রাস্তার কাজ ভাল হচ্ছে না। গ্রামের এক ভ্যান চালক বলেন, বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাটি ধ্বসে পড়বে।

এলাকাবাসী সাংবাদিকদের আরো জানান, এ রাস্তার কোন কোন জায়গায় দশ ফুটের কম, কোথাও দশ, আবার কোথাও তেরো ফুট করে কাজ করা হচ্ছে। কোন স্থানে মাটি ভরাট করতে হবে বলে মূল রাস্তা কমিয়ে মালিকানাধীন পুকুরের পাড় দিয়ে রাস্তা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মধুপুর পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নির্মাণ সামগ্রী সবকিছু যাচাই বাছাই করে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী পুকুর ছেড়ে দেয়না, গাছ কেটে দেয়না, আর তারা আমার নিকট এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি।