ভুঞাপুরে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে কাজ দেন মেয়র!

ভুঞাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮ | ৬৬০

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদের একনায়কতন্ত্র, স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ওই পৌরসভার ৮ কাউন্সিলর। মঙ্গলবার উপজেলার নির্বাচন অফিস কার্যালয়ের সামনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে টেন্ডার প্রক্রিয়ার নিয়ম নীতি না মেনে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে নিজের লোকদের কাজ দেয়া, জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজ না করে অপ্রয়োজনীয় স্থানে প্রকল্প দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে পৌরসভাকে অকার্যকর পৌরসভায় পরিনিত করার অভিযোগ তুলেছেন তারা।

এসময় মেয়রের ওই সকল অনিয়ম বন্ধ করা না হলে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানো হবে বলে জানান কাউন্সলররা। প্যানেল মেয়র ও টেন্ডার কমিটির সভাপতি আব্দুছ ছাত্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, নবাব আলী, আব্দুর রাজ্জাক তরফদার, খন্দকার জাহিদ হাসান, ছালেহা বেগম, রেখা চৌধুরী ও বিউটি বেগম।

৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জাহিদ অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভায় জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তা সংস্কার কাজের টেন্ডার না করে মেয়র তার পছন্দ অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় রাস্তার কাজ টেন্ডার দেন। টেন্ডার হওয়া ওই কাজ মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে তার বাহামভুক্ত লোকজনকে কাজ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্বেও বিভিন্ন অনিয়ম করেছে পৌর মেয়র। সম্প্রতি পৌরসভায় হাট বাজার ও বালু মহালের দরপত্রের সিডিউল মেয়রের বাহামভুক্ত লোকজন ছাড়া কারো কাছে বিক্রি করেননি। গোপনে দরপত্র বক্স খুলে টাকার বিনিময়ে নিজের লোককে কাজ পাইয়ে দেন অবৈধভাবে।

প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আব্দুছ সাত্তার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভার সকল টেন্ডার কমিটির সভাপতি হয়েও কোন দরপত্র আহবানে আমাকে জানানো হয় না। টেন্ডার কাজ নেয়ার জন্য মেয়রকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়।

জনপ্রতিনিধি হয়েও পৌরসভার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তার সংস্কার কাজ করতে পারছিনা মেয়রের স্বেচ্ছারিতার কারনে। অপ্রয়োজনীয় রাস্তা টেন্ডার দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি পৌরসভার হাট-বাজার ও বালু মহাল ইজারার জন্য টেন্ডার কাজের সভাপতি হিসেবে আমাকে অবহিত করা হয়নি। অবৈধভাবে ইজারা দেয়া হয়েছে।

পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মাসুদুল হক মাসুদ জানান, কাউন্সিলররা ঠিকাদারী কাজের সাথে সম্পৃক্ত। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।

পৌরসভার সকল কাজ যথাযথ বিধি অনুসরণ করেই করা হয়। যারা এই অভিযোগ করেছেন তারা নিজেরা সকলেই ঠিকাদারী কাজে নিয়োজিত। তারা ও তাদের পরিবারের লোকজন পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। আর তারা সে সুবিধা না পাওয়ায় আমার সম্মানহানীর চেষ্টা করছে।