সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

কিশোর গ্যাং যাতে কেউ পরিচালনা করতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫ | ১৮৯

বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় শুনেছি কিশোর গ্যাংয়ের কথা। আগামীতে কিশোর গ্যাং যাতে কেউ পরিচালনা করতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ থাকবে। 

কিশোরদেরকে কেন অবৈধ কাজের দিকে ধাপিত করা হবে। আজকে কিশোররা ভালো পড়ালেখা করে নিজেকে গড়ে তুলবে। সেদিকেই ধাপিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন। 
 
এতে করে মা বাবার জন্য এবং দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। তাদের দক্ষতায় তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামীর কিশোররাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। 
 
শুক্রবার (১আগস্ট) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিক মাঠে এসএসসি শিক্ষার্থীদের জিপি-৫ ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 
 
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মেধাবীদের কে নিয়ে হিজবুল পাহাড়ে গিয়েছিলেন। তাদেরকে উৎসাহ উদ্দীপনা দেওয়ার জন্য। যাতে করে তারা আরও বেশি ভালো ভালো কাজ করতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের জন্য তারা ভাল কিছু করতে পারে।। 
 
টুকু বলেন,আগামীর বাংলাদেশ হবে সুন্দর বাংলাদেশ। জনগণই নির্ধারণ করবে আগামী বাংলাদেশকে কারা পরিচালনা করবে। আমি যেহেতু মার্কেটিং এর ছাত্র ছিলাম । সেহতু আমার দলেরও একটা মার্কেটিং করতে চাই। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন আমার হাতে ছোট্ট একটি বই রয়েছে। সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতির সামনে ৩১ দফার কথা। সেই ৩১ দফা বইটি নিয়ে ছাত্র ছাত্রী হাতে তুলে দিতে চাই। 
 
এরমধ্যে দুটি দফার কথা তিনি উত্থাপন করেন। একটি হচ্ছে শিক্ষার মান উন্নয়নের ব্যাপারে অপরটি হচ্ছে আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যদি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। 
 
এসময় তিনি আরো বলেন ওই ফ্যামিলি কার্ডটা থাকবে মায়েদের নামে। মেয়েদের নামে এই জন্য থাকবে যাতে করে সংসারের মধ্যে মায়েরা একটু সম্মানিত হয়। মায়েদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। সেই জন্যই এই ফ্যামিলি কার্ড টি মায়েদের নামে থাকবে।
 
 আগামী দিনে ইনশাল্লাহ আমরা সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দেশটিকে গড়ে তুলতে চাই।
 
আমরা চাই জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হোক। সঠিক ভোট চাই। আমরা খুনী হাসিনার মত দিনের ভোট রাতে চাই না। আমরা চাই আমার ভোট আমি দেব। যাকে খুশি তাকে দেব। 
 
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আরো বলেন আমি টাঙ্গাইলের সন্তান টাঙ্গাইলেই আমার বেড়ে ওঠা। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করি। এজন্য টাঙ্গাইলের প্রতি আলাদা একটা মায়া মহব্বতের কাজ করে।
 
সেক্ষেত্রে তিনি যাহা করবেন সেটি টাঙ্গাইলকে ঘিরে করবেন বলে জানান। এছাড়াও চেষ্টা করব টাংগাইলকে আধুনিকায়ন উন্নয়ন করতে। 
 
তিনি বলেন বর্তমানে নারী শিক্ষার্থী বেশি।কারন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অবদান রয়েছে। কারণ অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিনা বেতনে যাতে ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারে। সে ব্যবস্থাটা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াই করেছিলেন। 
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু ও জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ করিমসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মন্ডলরা।