৩ হাজার বর্গকিলোমিটার পুনর্দখলের দাবি ইউক্রেনের


ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পুনর্দখলে নেওয়ার দাবি করেছে কিয়েভের বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বড় এলাকাজুড়ে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই প্রথম এত স্বল্প সময়ে বড় এলাকা পুনর্দখলের দাবি করল ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, শুধু দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে নয়, উত্তরের খারকিভের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে সেনারা। (রুশ) সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছি আমরা।
এক জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তার কথায় ইউক্রেনের দাবির সত্যতার আভাস মিলেছে। খবরে বলা হয়, একজন রুশ কর্মকর্তা গতকাল জানিয়েছেন, কিয়েভের বাহিনী অগ্রসর হওয়ায় মস্কোর বাহিনী ‘কৌশলগত কারণে’ পিছু হটছে। এর ফলে হাজারো মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে।
ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভাচেস্লাভ গ্রাদকভ বলেন, ‘গত কয়েক দিনে হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তাদের বেশির ভাগ নিজস্ব গাড়িতে স্বজনদের কাছে গেছে। আজ (রবিবার) এ অঞ্চলের ২৭টি অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে এক হাজার ৩৪২ জন লোককে রাখা হয়েছে। ’
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছিলেন, তাঁরা এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করেছেন। এরপর শনিবার আবারও দাবি করা হয়, দুই হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং কিয়েভের বাহিনী দৃশ্যত ৪৮ ঘণ্টার সামান্য বেশি সময়ের মধ্যে পুনর্দখলকৃত এলাকা তিন গুণ করেছে।
ইউক্রেনের ভূখণ্ড ফিরে পাওয়ার দাবি সত্য হলে গত এপ্রিলে রুশ সেনারা কিয়েভের আশপাশ থেকে চলে যাওয়ার পর ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য সাম্প্রতিক অগ্রগতি সবচেয়ে বড় সাফল্যের নজির হবে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা এ-ও বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রুশ বাহিনীর রণাঙ্গনে পিছু হটার প্রথম ঘটনা হবে সাম্প্রতিক পশ্চাদপসরণ।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি