নাগরপুরে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন গ্রেপ্তার ৩


টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক অভিযান চালিয়ে নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার মানড়া নয়াপাড়া এলাকার বাবুল হোসেনের স্ত্রী মোরশেদা আক্তার (৩৩), মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল বারেক (৪০) গোলাম মোস্তফার ছেলে চান মিয়া (৬০)।
এদের মধ্যে মোরশেদা আক্তার ও আব্দুল বারেক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, শফিকুল ইসলাম মোরশেদা আক্তারের সাথে জোর পূর্বক শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। এতে মোরশেদা বাঁধা দিলে টিউবওয়েলের পাড়ে তাদের মাঝে ধস্তাধস্তি হয়। মোরশেদা এক পর্যায়ে শফিকুলের মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখে ও টিউবওয়েলের মেঝেতে আঘাত করে। ফলে ঘটনাস্থলে শফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার এসআই মনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই সকালে মানড়া নয়াপাড়া ব্রিজের নিচে এক ব্যক্তির লাশ রক্তাক্ত উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতে স্ত্রী রাহেলা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই মামলার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। গত ১৯ জুলাই রাতে পুলিশ মোরশেদা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পরদিন ২০ জুলাই মোরশেদা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবনন্দি দেন।
পরবর্তীতে তার জবানবন্দি অনুযায়ী এ হত্যা মামলায় জড়িত আব্দুল বারেক ও চান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুল বারেক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবনন্দি দেন।
পুলিশ আরো জানায়, শরিফুল বিভিন্ন রোগে ভুগছিলো এবং অসুস্থ ছিলেন। মোরশেদা আক্তারের স্বামী প্রায় এক বছর যাবত বিদেশে থাকেন। শফিকুল ইসলাম সম্প্রতি মোরশেদা আক্তারের সাথে জোরপূর্বক শারীরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। শফিকুল আবারো গত ১৮ জুলাই শফিকুল আবারো মোরশেদার বাড়িতে যায়। তখন বাড়িতে কেউ ছিলো না। এ সুযোগে শফিকুল মোরশেদার সাথে আবারো জোরপূর্বক শারীরিক স্থাপনের চেষ্টা করে। এসময় মোরশেদা বাধা দিলে টিউবওয়েলের পাড়ে তাদের মাঝে ধস্তাধস্থি হয়। মোরশেদা এক পর্যায়ে শফিকুলের মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখে ও টিউবওয়েলের মেঝেতে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শফিকুলের মৃত্যু হয়। এসময় মোরশেদা শফিকুলের লাশ পাশের টয়লেটের মধ্যে লাশ লুকিয়ে রাখে।
পরে মোরশেদা বিষয়টি তার দেবর বারেক ও ভাসুর ফুলচানকে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে ওইদিন মধ্যে রাতেই নিহতের লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় অটোরিকশা যোগে ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়।
নাগরপুর থানার এসআই মনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পলাতক ফুলচানকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।