পানিতে ডুবে মৃত্যু
মির্জাপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরা হলনা আঁখির


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরীক্ষা শেষে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরা হরনা আখি আক্তার (১৮)। পথিমধ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ পানিতে ডুবে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আখির মৃত্যু হয়েছে।
আখি মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল গ্রামের আব্দুল মিয়া ও উত্তর পেকুয়া জাগরনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মির্জাপুর-পাথরঘাটা আঞ্চলিক সড়কের ত্রিমোহন ফিরিঙ্গিপাড়া এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বংশাই নদীতে পড়ে ডুবে আখির মৃত্যু হয়। টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল বেলা দুইটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানান, আখি আক্তার এ বছর বাঁশতৈল খলিলুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলো। বৃহস্পতিবার সকালে মায়ের সঙ্গে মামা ফরহাদ মিয়ার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় মির্জাপুরে পরীক্ষা দিতে আসে।
পরীক্ষা শেষে একই সিএনজিতে বাড়ি যাওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে মির্জাপুর-পাথরঘাটা আঞ্চলিক সড়কের ত্রিমোহন ফিরিঙ্গিপাড়া এলাকায় চালক সামনে থাকা রিকশা ওভারটেক করার চেষ্টা করে।
এ সময় সামনে থাকা অপর একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ১০০ ফুট গভীরে বংশাই নদীতে পড়ে ডুবে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন চালক ফরহাদ মিয়া, আখির মা ফরিদা ইয়াসমিন ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করলেও আখি নিখোঁজ হয়। পরে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা এসে উদ্ধার কাজ চালিয়ে দুপুর দুইটার দিকে আখির মরদেহ উদ্ধার করেন।
আখির সহপাঠী হেলেনা আক্তার ও রিয়া আক্তার জানান, আখির পরীক্ষা শেষ হলে রায়হান নামের এক সহপাঠির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরর করা হয়েছে।