কালযি়াকরৈে কোরবানরি জন্য প্রস্তুত 'সুলতান'


আসন্ন ঈদুল আযহা কে উপলক্ষ করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আনসার একাডেমির বিশ্বাস পাড়া এলাকায় লালন পালন করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এক বিশাল আকৃতির খাসি। পাঁচটি দেখতে ঠিক উটের মতো। খাসিটির নাম রাখা হয়েছে সুলতান। এটি ইন্ডিয়ান তোতা জাতের খাসি। খাসির ওজন পরিমাপ করা হয়েছে ৯০ কেজি। খাসির মালিক মূল্য হিসেবে দাম চাচ্ছেন এক লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা।
খাসির মালিক কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এর বিশ্বাস পাড়া মহল্লার মোঃ আজর আলীর ছেলে মোঃ নুর ইসলাম। তিনি কোরবানির ঈদে খাসিটি বিক্রি করবেন। খাসিটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমছে তার বাড়িতে।
জানা গেছে, সফিপুর বাজার থেকেই এই খাসিটির চার মাস বয়সের সময় কিনে আনেন। এখন বয়স ৩৬ মাস। খাসিটির সুলতানি ভাব থাকায় এর নাম দেয়া হয়েছে সুলতান। খাসিটির ৪ দাতেঁর।
নুর ইসলাম বলেন, এ ধরনের ছাগল লালন-পালন খুবই কষ্টকর। পরিবারের একজন সদস্যের মতো করে ছাগলটি পালন করতে হয়। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। খাসিটর জন্য পনেরো হাজার টাকা খরচ করে ঘর করেছি, ফ্যান লাগিয়েছি।কোথাও যেয়ে থাকতে পারি না।আমি ছাড়া কারও কথা শুনে না।
খাসিটির ওজন ৯০ কেজি। প্রতিদিন বিভিন্ন খাবার দিতে হয়। খাবারের মধ্যে রয়েছে- চিনা বাদাম,কাঁঠাল,কাঁঠাল পাতা,তরমুজ, ভুসি, খর ও কাঁচা ঘাসও রয়েছে। এছাড়া করোনার পরিস্থিতিতে এবার হাটের ওপর ভরসা করতে পারছি না। করোনার সঙ্কটময় মুহূর্তে দাম নিয়েও সংশয়ে। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, অনলাইনে খাসির ছবি দিয়ে বিক্রির চেষ্টা করছি।
পশু চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন,প্রতি পনেরো দিন অন্তর অন্তর আমি এ-ই খাসিটি দেখে আসছি। খাসিটি সম্পূর্ণভাবে কোরবানির জন্য উপযুক্ত।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফৌজিয়া কাদির জানান, কালিয়াকৈর উপজেলায় ১১ হাজার ৮২০টি কোরবানির জন্য উপযুক্ত গরু ও ছাগল রয়েছে। এসব খাসির মধ্যে পৌরসভার বিশ্বাস পাড়া মহল্লার নুর ইসলামের খাসিটি বেশ বড়। সঠিক মূল্য পেলে তিনি বেশ লাভবান হবে। এ ছাড়া করোনার সময়ে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি হবে।