অধিকমূল্যে পণ্য বিক্রি

টাঙ্গাইলে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৩ ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০ | ৫৫৩
করোনাভাইরাস আতঙ্কে অধিকমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি ও বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগে টাঙ্গাইল ১৩ ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
 
শুক্রবার সকালে শহরের একমাত্র পাইকারি বাজার পার্ক বাজারে এই অভিযান পরিচালন করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার টাঙ্গাইর র্যাব১২ (সিপিসি-৩) এর সহযোগীতায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।
 
অভিযানে ৯জন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে ১০ টাকা করে, ১ জন চাল ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা ও মূল্যতালিকা না রাখায় তিনজন চাল-ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসায়ীকে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চাঁন মিয়া, আক্তার হোসেন, সোহেল মিয়া, গোবিন্দ সরকার, সবুজ মিয়া, হাসু মিয়া, আকমল হোসেন, জোয়াহের আলী, সেকান্দার হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, মোসলেম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আমিনুল ইসলাম। 
 
এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার বলেন,  প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে প্রথম মৃত্যু খবরে আতঙ্কে রয়েছে লোকজন। এরমধ্যে অনেকে যে কোনো মুহূর্তে দেশ শাটডাউনের গুজবও ছড়াচ্ছে। এই আতঙ্কে অনেক ক্রেতাই দৈনিক বা সাপ্তাহিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত করে পেঁয়াজ, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত করতে শুরু করেছেন। এর প্রভাব পড়েছে  পেঁয়াজ ও চালেরসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেছেন বিক্রেতারা। এমন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। 
 
তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমানে দ্রব্যমূল্য সরবারাহ রয়েছে। কোন কিছুর অভাব নেই। তবুও করোনোর ভাইরাসের কারণে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ৪০ টাকা কেজিতে কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ছাড়া প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ৩৫ টাকা থাকা সত্ত্বেও তারা ৪৫ টাকা কেজিকে বিক্রি করছেন। আর অন্যদিকে মুদির বাজের কোন দব্য মূল্য টাঙানো ছিলো না এবং তারা দাম বেশি নিচ্ছে। এ কারণে হাতে নাতে ১৩ জন ব্যবসায়ীকে আটক করে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। 
 
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্ককে পুঁজি করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে পারে, মজুত থাকার পরও নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম না বাড়াতে পারে সেজন্য জেলা প্রশাসন আজ থেকে মাঠে থাকবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে।
 
এদিকে জেলা অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করছে স্থানীয় প্রশাসন।