ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ | ৪০১

ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৪ লেন প্রকল্পের সম্প্রসারিত নির্মাণাধীন সার্ভিস লেনের জায়গায় এখনো রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং ৬৫০টি ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ করার পরও বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। অন্যদিকে স্থানীয়রা ভূমি অধিগ্রহণের টাকা না পাওয়ায় তাদের স্থাপনাগুলো অপসারণ করছেন না। বিদ্যুৎ বিভাগ এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জমির মালিকদের টাকা দেয়া হয়নি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের ভোগরা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় ২০১৬ সালে রাস্তার এক পাশের সার্ভিস লেনসহ মোট ৫ লেনের কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালে রাস্তার অন্য পাশেও আরও একটি সার্ভিস লেন ১১টি আন্ডারপাস ও ৫টি ফ্লাইওভার করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

কার্যাদেশ অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০১৯ সালের জুন থেকে শুরু করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু কাজ শুরুর প্রায় ৭ মাস পার হলেও নির্মাণাধীন সার্ভিস লেনের বিভিন্ন জায়গায় ৫ শতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সাড়ে ৬শ' স্থাপনা সরানো হয়নি। খুঁটিগুলো দ্রুত অপসারণ করতে ৭ মাস আগে পল্লী বিদ্যুৎ ও ৩ মাস আগে পিডিবিকে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের।

অন্যদিকে সার্ভিস লেনের জায়গায় ভূমি অধিগ্রহণ করা হলেও জায়গার মালিকরা তাদের টাকা বুঝে না পাওয়ায় স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে না। ফলে ঐসব এলাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সাসেক লেন প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মৃন্ময় সাহা বলেন, যেহেতু আমরা তাদের টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি তাই দ্রুত পিডিবি ও আরএবি’র বোর্ডগুলো অপসারণ করা হোক। 

সুত্রঃ সময় নিউজ অনলাইন টিভি