পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ

সখিপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৩৬৭

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সরকারি মুজিব কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে দাবি মেনে নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ফরমপূরণের টাকা কমানোসহ অন্যান্য শর্তাবলী বাতিলের দাবিতে কলেজ চত্বরে মিছিল-সমাবেশ করে। পরে বেলা একটার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেন কলেজ কর্তৃপক্ষ ।

জানা যায়, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় ৮৪৭ জন অংশ নিয়ে ৮৪০ জন উত্তীর্ণ হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার্থীদের ফরমপূরণের কাজ শুরু হয়।

কলেজ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের তিন হাজার ১০০ ও ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য দুই হাজার ৮২০ টাকা নির্ধারণ করে বোর্ড টাঙিয়ে দেন।

এছাড়াও নির্বাচনী পরীক্ষায় ইংরেজি, রসায়ন, পদার্থ, আইসিটি বিষয়ে ৪০ নম্বরের কম পাওয়া প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ছাত্রাবাসে থাকা বাবদ তিন মাসের অগ্রিম নয় হাজার ৪০০ টাকা জমা দিয়ে ফরমপূরণের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ, রিফাত ইসলাম, মেহেদী হাসানসহ আরও কয়েকজন জানায়, অন্যান্য বেসরকারি কলেজে মাত্র ২৫০০ টাকা নিয়েই ফরমপূরণ হচ্ছে।

এটা সরকারি কলেজ এখানে ২৫০০ টাকার স্থলে ৩১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নির্বাচনী পরীক্ষার আগে অগ্রিম তিনটি মডেল টেস্ট পরীক্ষার জন্য ছাত্রপ্রতি ১২০০ টাকা ফি নেওয়া হয়েছে।

আবার ৪০ নম্বরের কম পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন মাসের অগ্রিম হোস্টেল ফি প্রায় সাড়ে নয় হাজার টাকা নেওয়ার পায়তারা করছেন। তারা জানায়, আমরা গরিব কৃষকের সন্তান। অনেকের বাবা ভ্যান, অটো চালিয়ে সংসার চালান। আমাদের পক্ষে ১২-১৩ হাজার টাকা দিয়ে ফরমপূরণ সম্ভব নয়। 

মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক খন্দকার রকিবুল বিজয় জানায়, ছাত্রলীগ সব সময় অনিয়ম, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে যাবে। আন্দোলন করে আমরা কলেজ প্রশাসনকে ফরমপূরণের টাকা কমাতে ও হোস্টেলে থাকার শর্ত বাতিল করতে বাধ্য করেছি।

কলেজের অধ্যক্ষ ছুটিতে থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কথা বিবেচনা করে আমরা দূর্বল শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আন্দোলন করে ওরা ওদের ক্ষতিই করেছে। আমরা ছাত্রদের দাবির মুখে তিন হাজার ১০০ টাকা থেকে আরও ২০০ টাকা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।