সৌম্য-মোসাদ্দেকদের পারফরম্যান্স অনুপ্রেরণা জোগাবে সিনিয়রদের


অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আর আবেগে না ভেসে বিশ্বকাপে ভালো খেলার এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তাহলে এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু অর্জন করতে পারবে টাইগাররা। এমনটা মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। সৌম্য-মোসাদ্দেকদের পারফরম্যান্স নতুন করে আশাবাদী করছে বাংলাদেশকে। এটা ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জোগাবে সিনিয়রদেরও।
আরাধ্য এক জয়। বহু সাধনার জয়। দুঃস্বপ্নের ইতিহাস ভেঙে নতুন স্বপ্ন দেখানোর উচ্ছ্বাস। উল্লাসে ভেসে নতুন দিনের আবাহন। ডাবলিন কি জানে? মহাকাব্যিক এ জয়ের সাক্ষী। যার জন্য অপেক্ষায় ছিলো লাল সবুজের বাংলাদেশ।
অনেকে বলে, ফাইনালই জিততে পারে না যারা তারা কিভাবে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখে? তারা এখন নিজেদের নিন্দুক ভাবতে পারে। বিশ্বকাপে কি হবে সেটা সময় বলবে। তবে, আপাতত টাইগারদের খেলা বলছে, এবার বিশ্বকাপ মঞ্চ থেকে খালি হাতে ফিরবে না বাংলাদেশ।
মোস্তফা মামুন বলেন, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালটা শেষ না। বরং এখান থেকে ওয়ার্ল্ড-কাপ শুরু। সেই হিসেবে এখান থেকে আমাদের জুনিয়র প্লেয়ার বড় একটা মেসেজ দিল তারাও তৈরি। সিনিয়র প্লেয়াররা পরীক্ষিত। সেক্ষেত্রে আমরা কমপ্লিট প্যাকেজ নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি।
পঞ্চপাণ্ডব ছাড়া বাংলাদেশ, হৃৎপিণ্ড ছাড়া মানুষ। এমন কথা ছড়িয়েছে বহু আগে। সেটা ভুল প্রমাণ করার জন্যই হয়ত অপেক্ষা করছিলেন সৌম্য-মোসাদ্দেকরা। বুঝিয়ে দিলেন, জুনিয়ররা অবদান রাখলেই পূর্ণ হয় সাফল্যের ষোলোকলা।
হান্নান সরকার বলেন, সৌম্য প্রতিটি ম্যাচই হাফসেঞ্চুরি করেছেন। লিটন দাস এক ম্যাচ খেলেই হাফসেঞ্চুরি করেছেন। এই টুর্নামেন্টে আমাদের আত্মবিশ্বাস হওয়াটা দরকার ছিলো, সেটা হয়েছে।
মোস্তফা মামুন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি, সিনিয়র প্লেয়াররা ভালো করছে, কিন্তু জুনিয়ররা ভালো খেলতে পারছে না বলে আমরা অনেক ম্যাচে জয় পায়নি। সেটাতে হয়তো তারা বের হয়ে এসেছে। এবং তারাও ভালো খেলছে। এবং ম্যাচ জয়ে অবদান রাখছে। এটা ভালো দিক।
মোসাদ্দেক-সৌম্য, লিটন। তিনজনই আছেন ছন্দে। বিশ্বকাপে তাই টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে হবে বুদ্ধিমত্তার সাথে। বললেন, বিশ্লেষকরা।