অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনগুলোতে কেমিক্যালের উপস্থিতি ছিল: ফায়ার সার্ভিস

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | ৪৩২

চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনগুলোতে কেমিক্যালের উপস্থিতি ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তারা বলছে, কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থেই কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।

শুক্রবার ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কমিটির সদস্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান সাংবাদিকদের এসব জানান।

জুলফিকার রহমান বলেন, ভবনের ভেতরে গ্যাস লাইটার রিফিলের পদার্থ ছিল। এটা নিজেই একটা দাহ্য পদার্থ। এছাড়া আরও অন্যান্য কেমিক্যাল ছিল। প্রত্যেকটা জিনিসই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছে। পারফিউমের বোতলে রিফিল করা হতো এখানে। সেই বোতলগুলো ব্লাস্ট হয়ে বোমের মতো কাজ করেছে।

বৃহস্পতিবার চকবাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছিলেন, ‘পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাসায়নিক গুদামের কোনো সম্পর্ক নেই, ওই ভবনে কোনো রাসায়নিক গুদামও নেই’।

শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, অবশ্যই কেমিক্যাল ছিল। যা যা ছিল, সেগুলো এক ধরনের কেমিক্যাল। আমি এ নিয়ে মন্তব্য করবো না, তিনি এমন বক্তব্য কোন পরিপ্রেক্ষিতে দিয়েছেন তা জানা নেই। ক্যামিকেলের জন্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে বেশি।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির সদস্যদের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনসহ দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয় সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে এ কমিটি।

অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুরক্ষাসেবা বিভাগ সংশ্লিষ্ট জরুরি কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। কন্ট্রোল রুমটির সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রম চলবে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত।