চকবাজার ট্র্যাজেডি: মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু
চকবাজারে আগুনের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরদেহ সৎকার বাবদ সরকারি অনুদানে প্রত্যেক নিহতের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া আগুনে নিহতদের পরিবারকে এক লাখ করে এবং দগ্ধ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিষয়ক মন্ত্রী ওবায়দুুল কাদের বলেছেন, নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে। আগুনের ঘটনা খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিমতলীর ট্র্যাজেডির পরেও যে ঘটনা ঘটলো তা আমাদের জন্য শিক্ষা। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ এ ব্যাপারে খবরাখবর নিচ্ছেন বলেও জানান কাদের।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত ৭৮-এ দাঁড়িয়েছে। দগ্ধসহ আহত অর্ধশতাধিক।
এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে৷ আগুনে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহগুলোর নাম-পরিচয় জানতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, চুরিহাট্টায় অগ্নিদগ্ধে নিহতদের মধ্যে যাদের মরদেহ পুরোপুরি পুড়ে গেছে তাদেরকে শুধু দেখে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। এমন মরদেহগুলোর পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৬৬ জন, নারী ৭ জন ও শিশু ৫ জন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে দগ্ধ ৯ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি, একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
মৃতদের তালিকা করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।