সোডিয়াম সালফেট এনে ভোজ্য লবণ হিসাবে বাজার জাতের অভিযোগ
চকরিয়ায় লবণ চাষী সমিতির স্মারকলিপি প্রদান


একটি অসাধু লবণ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক দেশের লবণ শিল্প ধ্বংসের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট টি চায়না থেকে সোডিয়াম সালফেট এনে সোডিয়াম ক্লোরাইড হিসাবে বাজারজাত করছে।
সোমবার বিকালে এ অভিযোগ এনে চকরিয়া লবণ চাষী সমিতি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। চকরিয়া লবণ চাষী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট এইচ এম শহিদ উল্লাহ চৌধুরী বলেছেন; চায়না থেকে শিল্পজাত লবণ হিসাবে এসব সোডিয়াম সালফেট আনা বন্ধ করা না হলে দেশের লবণ চাষীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়বে।
চকরিয়া লবণ চাষী সমিতি কর্তৃক চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন; গত ২৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে লবণ চাষী, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু মতবিনিময় সভা করেন। ওই মত বিনিময় সভায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র শিল্পের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই তদন্ত কমিটির দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে ৩ শত মেট্রিক টন লবণ মজুদ থাকায় লবণ আমদানী না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লবণ চাষী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট এইচ এম শহিদ উল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা চায়না থেকে দেশে সোডিয়াম সালফেট আনছে। এসব সুডিয়াম সালফেট দেশে এনে তা ভোজ্য লবণ দেখিয়ে লবণে সাথে মিশিয়ে বাজার জাত করা হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
চায়না থেকে শিল্প জাত লবণ হিসাবে সোডিয়াম সালফেট নিয়ে আসায় দেশের লবণ চাষীরা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। লবণ চাষী সমিতির নেতৃবৃন্দ চায়না থেকে এসব সোডিয়াম সালফেট আনা বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লবণ চাষী সমিতির সদস্য পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ার দিয়া এলাকার সিরাজুল মোস্তফা জানান; এসব লবণের কারণে দেশের লবণ চাষীরা চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে। চায়না থেকে এসব লবণ আসার কারণে চাষীদের লবণ মাঠে পড়ে রয়েছে, বিক্রি হচ্ছে না।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্মারক লিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া লবণ চাষী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট এইচ এম শহিদ উল্লাহ চৌধুরী, সদস্য সিরাজুল মোস্তফা, আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব আবু তৈয়ব, সরওয়ার আলম, সামশুল আলম, জাফর আলম চৌধুরী, ছাবের আহমদ, নাজেম উদ্দিন সওদাগর, হারুনুর রশিদ, মোহাম্মদ এহেছান, মোঃ নুরুন্নবী, রফিকুল ইসলাম, মকছুদ কোম্পানি, জমির হোসেন, আলী হোছন, ইয়াকুব সওদাগর ও মৌলভী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।