দেলদুয়ারে মাছ চাষ বদলে দিচ্ছে বেকার যুবকদের ভাগ্যের চাকা


স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় উপজেলার বেকার যুবকরা মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠছেন। উপজেলায় প্রতি বছরই বাড়ছে মাছ চাষের পরিমাণ। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসাদুজ্জামান, শওকত হোসেন, হাসিনা বেগম, শরিফুল ইসলাম, নুরুল আমিন, রায়হান মিয়া, রাসেল খান সহ বেশ কয়েক জন আলাদাভাবে পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ শুরু করেন।
অল্প সময়েই মাছ চাষে তাদের উৎপাদন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। তাদের দেখে উপজেলার অনেকেই আগ্রহী হয়ে মৎস্য অফিসারের পরামর্শে মাছ চাষ করছেন। এসব পুকুর ও জলাশয়ে রুই, কাতল, কালবাউশ পাঙ্গাস, মনোসেক্স তেলাপিয়া,মৃগেল,পুটি ও কার্প জাতীয় মাছের চাষ হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, দেলদুয়ারে বছরে ৪ হাজার ৫ শ টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। তবে মাছের খাবারের নিম্নমান ও উচ্চমূল্যসহ নানা অসুবিধার প্রতিকার চেয়েছেন মৎস্যচাষীরা। আর এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা মৎস্য অফিস।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২ টি করে মোট ১৬ টি সিআইজি (কমন ইন্টারেস্ট গ্র“প) মৎস্য চাষী দল রয়েছে। প্রতি সিআইজি দলে ২০ জন করে মোট ৩শ ২০ জন মৎস্য চাষী আছেন। তারা সকলেই উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। তাদের দেখে অনেকেই মাছ চাষে ঝুঁকছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে,চাষের মাছের পাশাপাশি প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন ও আহরণও বাড়াতে হবে। তাদের মতে, উপযুক্ত পুজি ব্যবস্থা করা, সরকারি পুকুর ও জলাশয় ইজারা ব্যবস্থা ও মাছ উৎপাদনে সমাজ ভিত্তিক করা এবং সকল মৎস্য জীবিকে মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়া। এমনকি আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ আহরণ ও বাজারজাত করণের বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। এতে মানুষের আয় বাড়বে। তৈরি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের । কমবে বেকারত্ব। জলাশয় গুলোর ব্যবহার হবে সঠিক।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, মাছ চাষে উদ্যোগী করতে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা, সরকারি বিলগুলো পুন:খনন, বিলগুলোতে সমাজ ভিত্তিক মাছ উৎপাদন ব্যবস্থা করা দরকার। এমন কি মৎস্য চাষীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ সুবিধা দেয়া হলে দেলদুয়ার হয়ে উঠতে পারে দেশের অন্যতম মৎস্য এলাকা।
ইতিমধ্যে অনেকেই উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষে সাফল্য পেয়েছেন। এছাড়া লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।