টাঙ্গাইল-৭
নারী ভোটারদের গুরুত্ব দিয়ে দুই প্রার্থীর স্ত্রী নির্বাচনী মাঠে


টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর নির্বাচনী এলাকা একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে বাড়ি বাড়ি প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোট চাইতে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানরাও।তারা নারী ভোটারদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।এতে এবার প্রার্থীদের প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
মন প্রতীকুল আবহাওয়া আর জেঁকে বসা শীতের মধ্যেও নির্বাচনী প্রচারে সরগরম টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসন। টানা তিনবারের এমপি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. একাব্বর হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা হোসেন, ছেলে তাহরীম হোসেন সিমান্ত কন্যা একতা ও তিশিতা এবং দুইবারের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর স্ত্রী ফাতেমা আজাদ, কন্যা তানিয়া আজাদ সিদ্দিকী ও ছেলে মুগ্ধ আজাদ সিদ্দিকীকে নিয়ে উপজেলার সর্বত্র প্রচারণা চালাচ্ছেন।
মো. একাব্বর হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা হোসেন স্বামীর ৭০ ভাগ উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বাকি ৩০ ভাগ উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন।বিশেষ করে নারী ভোটরদের আকৃষ্ট করতে তিনি নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন। নারী ভোটারদের নিয়ে তিনি উঠান বৈঠক করছেন বিভিন্ন গ্রামে।
অপরদিকে, বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর স্ত্রী ফাতেমা আজাদ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে জনগণের কাছে ধানের শীষ মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনিও এব্যাপারে নারীদের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন। বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি নারী ভোটারদের নিয়ে উঠান বৈঠক করছেন।
বড় দুই দলের দুই প্রার্থীর স্ত্রী সন্তানরা ভোটারদের কাছে ছুটছেন, চাইছেন ভোট। তাই তাঁদের নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ভোটারদের মাঝে। যেখানেই যাচ্ছেন দারুণ সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি দুজনেরই। দুজনই মনে করছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষেই যাবে গণরায়।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সরগরম হয়ে দিন রাত প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরাও প্রচারনা চালাচ্ছেন নীরবে। তবে সন্ধ্যার পর বিএনপির সমর্থকদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী টানা তিনবারের এমপি একাব্বর হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা হোসেন বলেন, আমার স্বামী মো. একাব্বর হোসেন জনগনের ভোটে তিনবার বিজয়ী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি দলমত নির্বিশেষে মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে সুষম উন্নয়ন করেছেন। উপজেলার অসমাপ্ত ৩০ ভাগ উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে এবারের নির্বাচনে এ উপজেলার ভোটাররা আবার নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিএনপির জাতীয নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী টানা দুইবারের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর স্ত্রী ফাতেমা আজাদ সিদ্দিকী বলেন, মির্জাপুরের মানুষ নতুন এমপি ও নতুন সরকার চাচ্ছে। আমার স্বামী জনগনের প্রার্থী। মির্জাপুরের ভোটাররা এবারের নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমার স্বামী আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে বিজয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।