কিরকুকের দখল নিয়েছে ইরাকি বাহিনী, উত্তেজনা


ইরাকের কিরকুক শহর পুনর্দখলে নিতে অভিযান শুরুর পর কুর্দিদের সামরিক বাহিনী পেশমার্গা’র কোনো রকম প্রতিরোধ ছাড়াই শহরটিতে প্রবেশ করেছে সরকারি বাহিনী। দেশটির উত্তরাঞ্চলের কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এই শহরে বিভিন্ন অংশের ও সরকারি স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ ইরাকি বাহিনী নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই সরকারের দফতরগুলো দখল করে নেয় ইরাকের বাহিনী।
ইরাকের পতাকা উড়ছে স্থানীয় সরকারের সদর দফতরেও। গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট করে কিরকুকের জনগণ। সেখানে স্বাধীনতাকামীদের জয়লাভের পর ইরাকের সরকার সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চাইলে তা নাকচ করে দেন কুর্দিরা। চরম উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার সকালে কিরকুকে সেনা অভিযান শুরু করে ইরাক। গণভোটকে অসাংবিধানিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি।
তবে এই ভোটকে বৈধ বলে দাবি করেছে আঞ্চলিক সরকার। পেশমার্গা কোনো রকম যুদ্ধ ছাড়াই এ অভিযান থেকে পিছু হটেছে বলে দাবি সরকারি বাহিনীর। তবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এখনও সংঘর্ষ চলছে এবং বন্দুকযুদ্ধের শব্দ বিবিসির ক্যামেরাম্যান শুনেছেন। পেশমার্গা যোদ্ধাদের হাত থেকে পুনরায় তেলক্ষেত্র এবং কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিরকুক শহরের বেশিরভাগ অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে ইরাকের সরকারি বাহিনী।
তবে কুর্দি বাহিনী সোমবারই দাবি করেছে, তারা ইরাকের সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত পাঁচটি মার্কিন হাম্ভিস ধ্বংস করে দিয়েছে। কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকারও কিরকুকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা হাতছাড়া হওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। ইরাকে সব দলের সঙ্গে থেকে উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টা করার দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে কোনো পক্ষেই না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবি, যে কারণে তারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে, সেই কারণটা জানা দরকার। সংঘাত বর্জন করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।