ছানোয়ার হোসেন এমপির নেতৃত্বে বদলে যাওয়া টাঙ্গাইল সদর


বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি,সাফল্য আর উন্নয়নের ফানুস উড়িয়েই টানা দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো আলহাজ্ব মোঃ ছানোয়ার হোসেন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন ।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের রাজত্ব কায়েম করেছিল। নির্বাচন বয়কটের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে নিরীহ বাসচালক, ট্রাকচালক, বাস-টেম্পো-অটোরিকশার যাত্রীদের।এই প্রতিকুল অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাড়িয়েছে।
এই সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে।
এই আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিটি উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান এবং সকলে কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এসময় উন্নয়ন চিত্র লক্ষ করা যায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সহ বিভিন্ন খাতে।
এই উন্নয়ন ফলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা মানুষের নিকট তিনি সাদা মানুষ হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে। তৃণমুলে সবাই মনে করেন, এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে ছানোয়ার হোসেনের সৎচরিত্র, দৃঢ়চেতা ও সাহসী মনভাবের কারণে। এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তিনি বিপুল পরিমানে ভোটে জয়ী হয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন এমনটা প্রত্যাশা সবার ।
শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন ছানোয়ার হোসেন বঙ্গবন্ধু আদর্শের এক উজ্জল নক্ষত্র, জননেত্রী শেখ হাসিনার অনন্য সৃষ্টি। আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে, শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য টাঙ্গাইল সদর-৫ সংসদীয় আসনে ‘আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেনের’ বিকল্প নেই।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বলেন ছানোয়ার হোসেনের বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়নের বার্তা তিনি পৌছে দিয়েছেন শহর ও গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে। অতন্দ্র প্রোহরীর মতে ছুটে চলছেন চরাঞ্চলে,গ্রামে এবং শহরে, ভোট চাইছেন নৌকার জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের জন্য।
শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাদারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা নবীন বলেন ছানোয়ার হোসেনের জনসাধারণের কাছে তার ১০০ ভাগ দায়বদ্ধতা প্রমান করেছেন কাজের মাধ্যমে। গনতান্ত্রীক ধারা, সমঅধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন উপজেলার সর্বত্র। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক নিয়ন্ত্রনে সাংসদের উদ্যোগ টাঙ্গাইলে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। শিক্ষা, কৃষি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দুস্থ পুনর্বাসন, স্কুল-মাদ্রসা, রাস্তাঘাট, ব্রীজ, নগরায়ন সহ সর্বত্র লেগেছে তার উন্নয়নের ছোয়া।
এক নজরে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি হতে টাঙ্গাইল সদরে বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র ঃ
শিক্ষা প্রকৌশল মোট প্রকল্প ১৯৬টি মোট ব্যয় ৪৫ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা,এলজিইডি-২০৮ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা, ব্রিজ নির্মাণ:১০২৭ মিটার ব্যয় ৫৬ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা, সড়ক নির্মাণ নতুন ৮০.১৩৯ কিলোমিটার ব্যয় ৫৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা,সড়ক মেরামত ১২৭ কিলোমিটার ব্যয় ৩৪ কোটি ৪ লক্ষ টাকা,হাটবাজার অবোকাঠামো নির্মাণ ২টি ব্যয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা,টাঙ্গাইল সদর ইপজেলা ভবন নির্মাণ ১টি ব্যয় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা,ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ২টি ব্যয় ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা,ভুমি অফিস ২টি ব্যয় ৭২ লক্ষ টাকা, নারী শ্রমিক (কর্ম দিবস হিসেবে) ৫১০৩২ কর্ম দিবস ব্যয় ৮০ লক্ষ টাকা, প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ ১১০টি ব্যয়৪৯ কোটি ১৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকা,পি.টি. আই.ভবন সম্প্রাসারণ নির্মাণ ২টি ব্যয় ২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা,সদর উপজেলা ত্রাণের ব্রীজ ১৭১৯ ফুট ব্যয় ১২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা,মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০০ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা,শেখ হাসিনা মেডিকেল ও হাসপাতাল ৬৩৫ কোটি ১০ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা, ঢাকা- টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন সার্ভিস, টাঙ্গাইল পৌরসভার জন্য ২২৮ কোটি টাকার লৌহজং নদী রক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প।
টাঙ্গাইলে এ উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ছানোয়ার হোসেন এমপি বলেন শেখ হাসিনা নির্দেশে যে উন্নয়ন এই টাঙ্গাইলে সাধিত হয়েছে। আমাদের যদি আদশ না থাকে এ উন্নয়ন আমাদের কাজে আসবে না । এর আগে বিএনপি জামায়ত জোট সরকার ছিল এবং মহাজোটে একজন জয়ী হয়ে ছিল কিন্তু তুলনামূলক তেমন কোন উন্নয়ন তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামীলীগের নৌকার কারণে আজ টাঙ্গাইলে উন্নয়ন দৃশ্যমান।আমি ক্ষমতায় আসার পর বিগত বছরের চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন করেছি। আমি ঢাকাতে ঘুরে ঘুরে অন্য যে কোন উপজেলার চেয়ে আমার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি প্রকল্প এনেছি। কাজ করেছি যা সকলের নিকট দৃশ্যমান।
তিনি আরোও বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার এই উন্নয়নের কারণে আজ নৌকার ভোটার বেড়েছে ভোট বেড়েছে। আওয়ামীলীগ সুসংগঠিত হয়েছে। এই টাঙ্গাইলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা টাঙ্গাইলবাসীকে আশাবাদী করেছে। উন্নয়নের ফলে টাঙ্গাইল এখন আওয়ামীলীগের দূর্গে পরিণত হয়েছে । কাজেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে নিয়ে আসতে হবে। উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।