বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৯ জনের নামে মামলা, গেফতার ৩


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম লিমটন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ডি এ মতিন ও ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ মিয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৯ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা করছে পুলিশ। মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক প্রকাশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর বেলা সাড়ে বারটার দিকে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের ঘোষনা অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানো দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই সোহাগপাড়া এলাকার কনা সুইটমিট দোকানের সামনে পাকা রাস্তায় নাশকতার প্রস্তুতি গ্রহন করছিল একদল দুস্কৃতিকারী।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুস্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। বাধা উপেক্ষা করে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে তিনজনকে আটক করে। এরা হলেন উত্তর পেকুয়ার হায়দার আলী, আব্দুল গফুর ও গোড়াই সোহাগপাড়ার জিয়াউর রহমান। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০ টি ইটের টুকরা, ২টি বাশের লাঠি এবং ৪টি লোহার রড উদ্ধার করেন।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এই ঘটনায় জড়ীতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানায়। জড়ীতদের মধ্যে রয়েছে মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম লিমটন, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ডি এ মতিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. ফরিদ মিয়া, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুর রহমান মৃধা, মহেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী হোসন খান খোকনসহ ৫৬ জন।
পরে মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক প্রকাশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে আটককৃত তিনজন সহ ৫৯ জনের নামে নাশকতার চেষ্টা, মহসড়কে প্রতিবন্ধকতা এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আরো ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত আসামী রয়েছে বলে জানা যায়। অভিযুক্তদের সকলেই উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বলে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।
উপজলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম নয়া বলেন পুলিশের মামলায় অভিযুক্ত সকলেই উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির গুরুত্বপুর্ণ পদধারী। রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতেই এই ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এই মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবী জানান।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মিজানুল হক বলেন মামলায় অভিযুক্তদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় আমার জানা নেই। মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নাশকতার চেষ্টা এবং পুলিশের ওপর হামলার কারনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পিএইচপি/শামসুল ইসলাম সহিদ