টাঙ্গাইলে জাপা’র সাবেক সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৮ | ৪৯০

টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হককে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সাথে জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ ও পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে। মাত্র কয়েকদিন দিন আগে পদোন্নতি পেয়ে জাপার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে জাপার মনোনয়ন প্রত্যশী মো. মোজাম্মেল হক।

বুধবার জাতীয় পার্টির দপ্তর থেকে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সাংগঠনিক নির্দেশ অমান্য করায় মো. মোজাম্মেল হককে জাপার প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ ও পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যান দলের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মোজাম্মেল হককে বহিষ্কার করার কথা বলা হলেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত তার অব্যহতিপত্রে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। জাতীয় পার্টির প্যাডে পাঠানো চিঠিতে কোনো তারিখও উল্লেখ নেই।বহিষ্কারের খবরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইল শহরে জাপার হয়ে বাতি জ্বালানোর লোক ছিল না। সেখানে আমি খেয়ে না খেয়ে দলের হাল ধরেছি। ২৮ বছর ধরে অলিগলি ঘুরে দলকে শক্তিশালী করেছি। দলের চেয়ারম্যন ২ বছর আগে ডেকে নিয়ে বললেন, তুমি নির্বাচন করবে টাঙ্গাইল-৫ এ। তার পর থেকে রাত-দিন কাজ করে দলকে শক্তিশালী করেছি। গত চার বছর টানা টাঙ্গাইল জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি ছিলাম। কিছুদিন আগে আমাকে দলের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদকও করা হয়। কিন্তু মাত্র পাঁচ দিন পর আমার কোনো পদ নেই। এই হচ্ছে আমার ২৮ বছরের ত্যাগ তীতিক্ষার প্রতিদান ।

উল্লেখ্য,ব্যবসায়ী শফিউল্লাহ মুনির কিছু দিন আগে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েই পার্টির চেয়ারম্যানের আস্থাভাজনে পরিণত হন। আগের কোনো অভিজ্ঞতা ও পদ-পদবি ছাড়াই পেয়ে যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তথ্য প্রযুক্তি ও রাজনৈতিক উপদেষ্টার পদ। শুধু তাই নয়, তার জন্য টাঙ্গাইলের কমিটি ভেঙে দেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

আবুল কাসেম ও মোজাম্মেল হকের কমিটি ভেঙে দিয়ে আহবায়ক করেন শফিউল্লাহ মুনিরকে। টাঙ্গাইল জেলা জাপার নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হলেও তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাকে টাঙ্গাইল-৫ আসনে জাপার মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করেন।