কালিহাতীতে গৃহবধূকে
হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

যৌতুকের দাবী পূরণ না হওয়ায় স্বামী ও তার পরিবার কর্তৃক নির্যাতন ও গৃহবন্ধী করে হত্যা করে, আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টার অভিযোগ করেছে গৃহবধূর বাবার পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে ১০অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আউলটিয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত দেড় বছর আগে উপজেলার আউলটিয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে মাসুদের সাথে একই উপজেলার ধানগড়া গ্রামের আঃ হালিমের মেয়ে হালিমাতুজ সাদিয়া(রিক্তা)’র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
তাদের ঘরে ৩ মাসের শিশু কন্যা রয়েছে। বিয়ের পর থেকে অর্থলোভী স্বামী মাসুদ ও তার পরিবার যৌতুক দাবী করে বিভিন্ন ভাবে রিক্তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বাবা বিগত ৬/৭ মাস আগে স্থানীয় মাতব্বর শাজাহান, লতিফ ও মজনু মিয়ার উপস্থিতিতে মাসুদ ও তার মা, নানা-নানী’র সামনে মাসুদের চাচাত দাদা ইজ্জত আলীর হাতে নগদ ২ লক্ষ টাকা তুলে দেন।
পূণরায় অর্থলোভী মাসুদের পরিবার আবারও যৌতুকের টাকার চাপদিলে গত ৬ অক্টোবর যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় মাসুদের পরিবারের লোকজন গৃহবন্ধী করে না খাওয়ায়ে রাখে। তাতেও ক্ষ্যন্ত হয়নি স্বামী মাসুদের পরিবার। গত ৯ অক্টোবর রাতে শ্বাশুড়ী মমিনা খাতুন ও নানা শ্বশুড় নুরু মিয়া মিলে রিতিমত মারধর করে।
পরে ঘটনার দিন ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে শ্বাশুড়ীর নেতৃত্বে গৃহবধুকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা। অভিযোগ করেছে গৃহবধূর বাবার পরিবার ।
এ বিষয়ে গৃহবধূর বাবা আঃ হালিম জানান, জনৈক্য আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নব নেতার মাধ্যমে পুলিশ মোটা অংকের সুবিধায় প্রভাবিত হয়ে হত্যা মামলা নেয়নি। আমার মেয়ে কখনই আত্মহত্যা করতে পারে না আমার মেয়েকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে। তিনি আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনর্চাজ মীর মোশারফ হোসেন জানান, আমরা পরেছি ফাঁটাকলে মেয়ের বাবাও পুলিশ, স্বামীও পুলিশ। প্রাথমিক অবস্থায় জানতে পেরেছি আত্মহত্যা কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।