স্ত্রী কর্তৃক পরিকল্পিত স্বামী হত্যা চেষ্টার প্রধান আসামি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭ | ২২৬

টাঙ্গাইলের এনায়েতপুরে মো. আবুল কাশেম খানকে তার স্ত্রী কর্তৃক হত্যা চেষ্টার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ০৮ অক্টোবর রোববার ঢাকার শাহীনবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

টাঙ্গাইল মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি দল জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করেন।

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান, মামলার প্রধান আসামি ঘটনার পর থেকেই ৪১১, শাহীনবাগ এলাকায় লেক্সাস ইএলটি একাডেমিয়া নামে তার নিজস্ব কোচিং সেন্টারে আত্মগোপন করে ছিল।

আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান শনাক্ত করে ০৮ অক্টোবর রোববার রাতে তাকে গ্রেফতার করি। মামলার অন্যান্য আসামিরা এখনো পলাতক আছে। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি আরো জানান, জাহাঙ্গীর আলমকে ০৯ অক্টোবর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। ১০ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

মোঃ কাশেম খান টাঙ্গাইল মির্জাপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ ভোরের কাগজ, আমার দেশ এবং স্থানীয় খামোশ, সময় তরঙ্গ ও এফএনএস অনলাইনের নিয়মিত সাংবাদিকতা করে আসছেন।

উল্লেখ্য, গত ০৬ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটায় সাংবাদিক মো. কাশেম খানকে তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার ও তার দুই ভাই জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল আলম ও মা ছাহেরা বেগম মিলে হাত-পা বোধে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে।

কিন্তু কাশেম তার জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। প্রচণ্ড ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরের হাতে থাকা ধারালো চাকুটি কাশেমের ঠোঁটের উপর দিয়ে চলে যায় এবং ঠোঁট কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেসময় কাশেমের স্ত্রী রোজিনা কাশেমের মাথায় ভারী শীল দিয়ে আঘাত করতে থাকে।

এক পর্যায়ে কাশেমের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এসে কাশেমের বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ পেয়ে বাড়ির উত্তর পাশের জানানলা ভেঙে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার উদ্যোগ নিলে ঘরের ভিতরে থাকা জাহাঙ্গীর চিৎকার করে বলতে থাকে, “কেউ ঘরে ঢুকার চেষ্টা করবে না, ঘরে ঢুকলে গুলি করে লাশ ফেলে দিব।

তখন এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ও এলাকাবাসী কাশেমকে হাত-পা বাঁধা ও মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় মোঃ আবুল কাশেম খান নিজে বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর - ০৯, তারিখ - ০৭/০৯/২০১৭ ইং।

এই হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি গত ০৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত পত্রপত্রিকায় বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে।