ছাত্রীকে অশালীন মন্তব্য করায় শিক্ষককে মারধর, এক বছরের কারাদন্ড


টাঙ্গাইলে ছাত্রীদের নিয়ে নানা রকম আপত্তিকর মন্তব্য করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে বিন্দুবাসিনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ের সহকারি ইংরেজী শিক্ষক সাইদুর রহমান বাবুল (৪২)। সে কালিহাতী উপজেলার পারখী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান এ দন্ডাদেশ দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ক্লাশের ছাত্রীদের অশালিন মন্তব্য ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবলু। এরই ধারাবাহিকতা (৩০ সেপ্টেম্বর) রোববারও নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়। ওই দিনই সকল ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষককে তার ওই কুপ্রস্তাবের বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করে।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেন। স্কুল ছুটি শেষে ছাত্রীরা অভিভাবকদের জানালে সোমবার সকালে অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের সহকারি ইংরেজী শিক্ষক সাইদুর রহমান বাবুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। অবস্থা বেগতিক দেখে সাইদুর কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। পরে বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকরা সাইদুরকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে ক্লাস বর্জণ করে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ লম্পট শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানায়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার জানান, শিক্ষার্থীদৈর দাবীর প্রেক্ষিতে সাইদুর রহমান বাবুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমন অনৈতিক কাজের অপরাধে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, জড়িত শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরে ইফটিজিং এর অভিযোগে ওই শিক্ষককে ১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্টে। এ ঘটনায় ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার প্রস্তুত চলছে।