পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারালো ভারত


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রতিশোধটা বেশ ভালোভাবেই নিল ভারত। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজদেশের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারালো রোহিত শর্মার দল।
দুই দলই আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে সুপার ফোরের টিকিট। নির্ধারিত হয়ে গেছে কে কার বিপক্ষে লড়ছে পরের রাউন্ডে। তবে ম্যাচটা যখন ভারত-পাকিস্তানের, তখন এসব বলে কি লাভ! মাঠ আর মাঠের বাইরে দুই দেশের বৈরিতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তেজক কথার ছড়াছড়িই যখন এই ম্যাচের রসদ। এমন একটা ম্যাচের আবেদন ক্রিকেট বিশ্বে অন্যরকম মাত্রা তো পাবেই!
এসব বোধহয় কাজ করে ক্রিকেটারদের চিন্তায়-মননেও! নতুবা ম্যাচের শুরুতেই অমন আক্রমণাত্মক ভাব কেন পাক ব্যাটারদের! দলীয় মাত্র তিন রানের মাথায় দুই ইনফর্ম ফখর জামান ও ইমাম উল হক আত্মসমর্পন করলেন ভুবনেশ্বরের কাছে।
ইনিংস মেরামতের দায়িত্বটা কাঁধে নিলেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। পাশে পেলেন ওয়ানডের দুই নাম্বার ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে। দুজনে গড়লেন ৮২ রানের জুটি। কুলদীপ যাদবের স্পিনবিষে বিভ্রান্ত বাবর ফেরেন ৪৭ রানে। রান আউটের শিকার হয়ে মালিক যখন ফেরেন, তার নামের পাশে ৪৩ রান আর দলীয় সংগ্রহ তখন ১০০।
এরপর হুড়মুড় করে ভেঙ্গেছে পাক ব্যাটিং লাইনআপ। সরফরাজ-আসিফ আলীদের ব্যর্থতার মাঝেও প্রতিরোধের চেষ্টা বোলার ফাহিম আশরাফ আর আমিরের। তাতে অবশ্য বালির বাঁধের জোড়া লাগানো যায়নি। ১৬২ রানেই সব শেষ পাকিস্তানের।
পাকিস্তানিরা যেই উইকেটে ব্যর্থ, ভারতীয়রা ঠিক সেখানেই জ্বলে উঠলো। রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ানের উদ্বোধনী জুটি দেখে যে কারো মনে হতেই পারে, জয়ের কাজটা শেষ করে দ্রুতই হোটেলে ফিরতে চান তারা। মাত্র ১৩ ওভারে দুজনে গড়লেন ৮৬ রানের পার্টনারশিপ।
স্পিনার শাদাব খান ফেরালেন রোহিত শর্মাকে। ততক্ষণে তার নামের পাশে ৩৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ৪৬ রান করা ধাওয়ানও ফেরেন কিছুক্ষণ পরই।
তবে রাইডু আর কার্তিক বাকি পথটুকু পাড়ি দিয়েছেন নিশ্চিন্তে। ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ছেন যখন, তখনো জমা রইলো ১২৬ টি বল!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ১৬৪/২ (২৯) রোহিত ৫২, ধাওয়ান ৪৬, রাইডু ৩১*, কার্তিক ৩১*; ফাহিম ৩১/১।
ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।