নন্দীগ্রামের মাটিতে মাল্টা চাষ করে আবু বক্করের চমক


মাল্টা বাগান করে বগুড়ার নন্দীগ্রামে চমক সৃষ্টি করেছেন উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের টাকুরাই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক। পৌর শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার অদূরে। তার বাগানে ছোট ছোট গাছে এখন ঝুলছে মাল্টা।
মাল্টা চাষি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ২০১৭ সালে নিজ গ্রামে ৫৪ শতক জমির উপর গড়ে তোলেন তার মাল্টা বাগান। এটাই এই উপজেলার সর্বপ্রথম মাল্টার বাগান বলে তার দাবি।তার বাগানে পাকিস্থানী জাতের ২৩৫ টি মাল্টা গাছ লাগানো হয়েছে। একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে ২৩০ টি থাই পিয়ারা, ২২০ টি থাই লেবু, ২০টি আম গাছ, ৫ টি কমলা, ১২০০ টি লিচু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। চারা রোপণের দেড় বছরই মাল্টা ধরা শুরু করেছে। মাল্টার ২৩৫ টি গাছের মধ্যে ১৬টি গাছে ফল এসেছে। সেই সব গাছে ৫ টা থেকে ৫০ টি পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে, যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
ওই এলাকার হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের নন্দীগ্রামে অনেক ভালো ভালো জমি রয়েছে যা মাল্টা চাষের উপযোগী। তা প্রমাণ করে দিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক। তাকে দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উৎসাহিত হয়ে আগামীতে মাল্টা চায়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার টাকুরাই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, মাল্টা গাছের মাঝে মাঝে থাই পেয়ারার গাছ তার পাশে থাই লেবুর গাছগুলো। এ যেন এক মন ভরানো অপরুপ দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে টাকুরাই গ্রামে। সবুজের বুকে অন্যরকম এক সবুজের হাতছানি অপরুপ দূশ্য। তার ফসলি জমিজুড়ে রয়েছে মাল্টা, পেয়ারা, লেবু, লিচু ও আম গাছ। তার এ মাল্টা চাষ দেখে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক ও কৃষকরা এ মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা. মশিদুল হক বলেন, এই উপজেলার মাটি অনেক উর্বর ও মাল্টা চাষের উপযোগী। মাল্টা চাষের এই সফলতা আগামীতে কৃষককে আরো অনুপ্রেরণা যোগাবে এমনটাই মনে করি আমরা।