এবার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণে ঘুষ বাণিজ্য
 
												 
																			ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঝিনাইদহ আনসার অফিস।
এবার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ৬ লক্ষাধিক টাকা অধিক ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে প্রশিক্ষন বঞ্চিত অনেকের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, আহসান উল্লাহ জেলা আনসার ও ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যে মেতে উঠেন।
তিনি আনসার অফিসে শক্তিশালী সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্যে করছেন। ইতিপূর্বে তিনি টেন্ডার বাদে ঝিনাইদহ আনসার ও ভিডিপির অফিসের মোটা মোটা মেহগনি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২০টি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন।
তিনি নিজের সুবিধার জন্য বান্দরবনে পোস্টিংয়ে থাকা ১৪ ব্যাটেলিয়নের সদস্য প্যাথলজি সহকারি নরুল ইসলামকে ঝিনাইদহে বদলি করিয়ে এসেছেন। এই প্যাথলজি সহকারি নুরুলকে দিয়ে ঘুষ বানিজ্যে করাচ্ছেন। নুরু তার প্যাথলজির কোন কাজ করে না।
এ কারনে প্রায় প্যাথলজির কাজে ব্যবহৃত সরকারের কেনা ৫০ লক্ষাধিক টাকা মালামাল নষ্ট হতে চলেছে। এদিকে কোন খেয়াল নেই নুরুল ইসলামের। তিনি জেলা আনসার ও ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে ৬টি থানা অফিসারের মাধ্যমে ৬০জন ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষনে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা করে মোট ৬লাখ টাকা অধিক হাতিয়ে নিয়েছেন।
তিনি পূজামন্ডবে ডিউটি করার জন্য দুই হাজার ৩৮৪ জন অস্থায়ী ভাবে নিয়োগকৃত আনসারদের কাছ থেকে ৯লাখ টাকা হানিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অফিসের এমন কোন খাত নেই যে তিনি অনিয়ম দুর্নীতি করেন না।
এব্যাপারে জেলা কমান্ড্যান্ট আহসান আল্লাহর সাথে অফিস টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুষ নেওয়ার বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, অদক্ষ প্রার্থীসহ অনেকের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না।
ফলে তারা নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তবে ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
                         
 
             
            