নন্দীগ্রামে আউশ ধান কাটা-মাড়াই শুরু; কৃষকের মুখে হাসি

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:২১ এএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮ | ৪১৮

বগুড়ার নন্দীগ্রামে আউশ ধান কাটা শুরু হয়েছে। আউশ ধানের মাঠ এখন পাকা ধানের সোনালী হাসি । উজ্জল রোদে সেই হাসি আরো ঝলমল করে উঠছে । অনেক মাঠেই কৃষক কাস্তে নিয়ে ধান কাটার উৎসবে নেমে পড়েছেন।

আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে এতে করে কৃষকের মন ভরে উঠেছে আনন্দে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি আউশ মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করা হলেও কৃষকরা ধান বিক্রি করে আশানুরুপ দাম পাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। কারন সব ধরনের কৃষি পন্যের দাম বাড়ার কারনে উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

কৃষকরা জানান এবার প্রতি বিঘা আউশ চাষে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তবে এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে চিন্তা এখন ও কাটেনি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর চলতি আউশ মৌসুমে শুধু নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৮ হাজার ২শ ৫৭ হেক্টর জমি চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৯হাজার ৫শ হেক্টর। আর এই জমি থেকে ৩০ হাজার ৫শ ৮৩ মেট্রিক টন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

পাশাপাশি ধানের ফলন আশানূরূপ হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে । আউশ ধান দেশের খাদ্য চাহিদা পুরনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। তাই এবারো কৃষকরা মাঠের ফসলি জমির প্রতি যত্নশীল হয়েছিল। সে কারণে ভালো ভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী ধান পাবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলার হাটলাল গ্রামের কৃষক আঃ রহিম, আনছার আলী, রনবাঘা গ্রামের কৃষক আঃ কালাম জানান, প্রতি বিঘায় পাঁচ ধান ১৬ থেকে ১৮মন ও পারি জাতের ধান ১৫ থেকে ১৬ মন হারে ফলন হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রতি মণ পারি ৬৫০টাকা ও পাঁচ ধান ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। ধান কাটার শুরুতেই ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পেয়ে তারা খুব খুশি বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষিঅফিসার মোহা. মশিদুল হক জানান, ভালো আবহাওয়া, কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ ও কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমে এবার উপজেলায় আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে।