পার্লামেন্টে পাস করা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ইসরায়েলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, রোববার, ১২ আগস্ট ২০১৮ | ৪২০

ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে দেশটির পার্লামেন্টে পাস করা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আরবের বংশোদ্ভূত ইসরায়েলিরা। শনিবার রাজধানী তেল আবিবে জড়ো হয়ে তারা দাবি করেন, সংখ্যালঘুদের একঘরে করতেই ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। বর্ণবাদী ও জাতিবিদ্বেষী এ আইন শিগগিরই প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও ঘোষণা দেন তারা।

সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের পর ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন আরব বংশোদ্ভূত ইসরায়েলিরা। শনিবার তেলআবিবে লক্ষাধিক আরব ইসরায়েলির সঙ্গে ইসরায়েলের কয়েকটি গণতান্ত্রিক সংগঠনও বিক্ষোভে অংশ নেয়। পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে বর্ণবাদী ও জাতিবিদ্ধেষী আখ্যা দিয়ে, তা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘এ আইনের সঙ্গে আমরা একমত নই। নতুন আইন আরবি ভাষা, শান্তি, এবং আমাদের ভবিষ্যত বিরোধী। আমরাই এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। আমরা এ আইন কখনো মানবো না। শুধু আরবদের জন্য নয় সব সংখ্যালঘুর জন্য বিপজ্জনক এ আইন। আরব ইসরায়েলিদের জন্য অনেক বড় আঘাত এটি। সরকার সংখ্যালঘুদের একঘরে করার পরিকল্পনার হিসেবে এ আইন পাস করেছে। সামনের দিনগুলোতে আমাদের মতো যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হতে পারে।’

১৯৪৮ সালে আরব যুদ্ধের পরে কয়েক লাখ মানুষকে জোরপূর্বক তাদের জন্মস্থান থেকে উচ্ছেদ করে ইসরায়েল। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যান অনেকে। থেকে যাওয়া অনেকে চিহ্নিত হন ফিলিস্তিনি হিসেবে। জনসংখ্যায় তারা ৯০ লাখের মতো।

ইসরায়েল তাদেরকে সমান অধিকার দেয়ার কথা বললেও অনেকেই অভিযোগ করেন, দেশটির সরকার তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক এবং দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করছে। এমন অবস্থায়, ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না তারা। ইহুদি ইসরায়েলিরা বলছেন, তাদের মতোই সুযোগ ভোগ করার অধিকার আছে সংখ্যালঘু নাগরিকদের।

গত ১৯শে জুলাই ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ইহুদি রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়ে একটি আইন পাস করা হয়। ওই আইনে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে থাকা ফিলিস্তিনিদের ভূমি অধিগ্রহণে অনুমতির পাশাপাশি আরবিকে ইসরায়েলের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা বাতিল করা হয়।