আমাদের সচেতনতা আর কত দুরে

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট ২০১৮ | ৫৯১

সচেতনতামুলক অনেক শ্লোগান, বাণী এবং বক্তব্য শুনি আমরা প্রতিনিয়ত। চলার পথে দেয়ালে, রাস্তায় এবং গাছে গাছে বিভিন্ন সাইনবোর্ডেও দেখে থাকি এবিষয় অনেক লেখা। দেখে শুনে পড়ে আমারা বাস্তব জীবনে এর কতটা প্রয়োগ ঘটাচ্ছি তাই দেখার বিষয়। যা করতে হবে তা করিনা। যে কাজ না করতে অনুরোধ করা হয় তাই আমরা বিবেক হীনের মত করে থাকি। মির্জাপুর পৌর সভার বিভিন্ন মহল্লায় উন্মুক্ত স্থানে বাসা বাড়ির ময়লা ফেলার দৃশ্য দেখলে তার প্রমান মেলে।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ২০০০ সালে উপজেলার সদর ইউনিয়নকে পৌরসভায় রুপান্তর করা হয়। ১৮ বছরেও এই পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান তৈরী হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষ যখন যেখানে মনে করেন সেখানেই জনসাধারণের চলাচলের স্থানে ময়লা ফেলছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ যেহেতু সচেতন হয়নি তাই এখানে বসবাসকারী অনেক মহল্লার মানুষ ইচ্ছে করেই সচেতন হচ্ছেনা বলে ময়লা ফেলার অবস্থা দেখলে বুঝা যায়।

মির্জাপুর বাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উত্তর পাশে অবস্থিত পুষ্টকামুরী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ১৫/২০ গজ দুরেই রয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ মো. একাব্বর হোসেন এমপির বাসা।

বিদ্যালয়টির মুল ভবনের উত্তর পাশে দেয়াল ঘেষে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় ওই মহল্লার লোকজন অবাদে ময়লা ফেলছে। বিদ্যালয়ের দেয়ালে লেখা রয়েছে এখানে ময়লা ফেলা নিষেদ। তবু থেমে নেই ময়লা ফেলা। বিদ্যালয় চলাকালীন সময় কাক সহ বিভিন্ন পশু পাখি ওসব ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলছে। এসব ময়লার দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ে অবস্থান কষ্টকর হচ্ছে বলে প্রধান শিক্ষিকা শরফুন্নেছা খানম জানিয়েছেন।

সদরের বনিক পাড়া নরেশ তরফদারের বাসার দেয়ালে লেখা আছে এখানে ময়লা ফেলা নিষেদ, ফেললে ২০০ টাকা জরিমানা। সেখানেও ওই মহল্লার বাসা বাড়ির লোকজন ওখানে অবাদে ময়লা ফেলছেন।

মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমনের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওই মহল্লার অনেক লোককেই মৌখিকভাবে বলা হয়েছে তবু ময়লা ফেলা বন্ধ হয়নি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।