টি-টোয়েন্টি সিরিজও বাংলাদেশের


টেস্ট সিরিজে লজ্জাজনক ফলাফলের পর ওয়ানডে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টাইগাররা। ৫০ ওভারের খেলায় নিজেদের ধারাবাহিক উন্নতি বুঝিয়ে দিয়েছিলো সিরিজ জিতে। কিন্তু সেই তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে সাকিব তামিমরা অনেক পিছিয়ে থাকলেও বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজ জয় করে নিয়েছে। শেষ ম্যাচে ১৯ রানে হারিয়ে ওয়ানডেরমত টি টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে সাকিবের দল। লিটন-রিয়াদের ঝড়ে ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৮৪ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭.১ ওভারে ১৩৫ রান তোলার পর বৃষ্টি শুরু হলে আর খেলা হয়নি । বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ জিতে ১৯ রানে।
ম্যাচের প্রথম বলেই স্যামুয়েল বদ্রিকে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেছিলেন লিটন। লিটন হাফ সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২৪ বলে। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে মোহাম্মদ আশরাফুলের হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০ বলে। এটাই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের ফিফটির টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটি। দ্বিতীয় স্থানে এখন লিটন।
১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম দশ ওভার পর্যন্ত ছন্দ খুঁজে পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায়নি প্রত্যাশিত ঝড়ো শুরু। আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফাঁদে ফেলে আউট করেন মুস্তাফিজুর রহমান।
এরপর আন্দ্রে রাসেলের এই বিধ্বংসী ব্যাটিং। নেমেই শুরু করেন ছক্কার ঝড়।ছক্কা মেরেই করেন প্রথম ২৪ রান ।
এই রাসেলের ব্যাটেই আশা দেখছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু সেই আশা গুড়েবালি করে দেন মুস্তাফিজ। রাসেলকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের স্বপ্ন ফিকে করে দেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ১৭.১ ওভারে বৃষ্টি নামলে বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। পরে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে টাইগারদের জয় ঘোষণা করা হয়। ম্যাচ সেরা হয়েছেন লিটন আর সিরিজ সেরা সাকিব।