শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৃতীয় শক্তি ঢুকে পড়েছে: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে তুলে স্কুলে পাঠান। এদের মধ্যে তৃতীয় শক্তি ঢুকে পড়েছে। তৃতীয় শক্তি মানুষ না। এরা পারে না এমন কোনো কাজ নেই। অভিভাবক শিক্ষকদের বলব, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের। তাদের লেখাপড়া শেখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবে, পড়াশুনা করবে।
আজ রবিবার সকালে গণভবনে দেয়া ভাষণে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শঙ্কিত। গত কয়েকদিন ধরে তারা যা ইচ্ছে করেছে। তাদের অনুভূতি আমি বুঝি। কিন্তু যথেষ্ট হয়েছে। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি যথেষ্ঠ ধের্য্যের পরিচয় দিয়েছে। মন্ত্রী-এমপি সবাই তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। তাদের কোনো বাধা দেয়নি। আমি বলেছি ওরা যাই করুক ধৈর্য ধরতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া সব মেনে নেয়া হয়েছে। আশা করছি তারা ঘরে ফিরে যাবে। তাদের মূল দায়িত্ব পড়াশুনা করা।
তিনি বলেন, মোবাইল ফোন প্রত্যেকটা মানুষের হাতে আমরা পৌঁছে দিয়েছি। আজকে হাতে হাতে মানুষের মোবাইল ফোন। সব ধরনের ইন্টারনেট আমরা দিয়ে দিচ্ছি। ঘরে বসে আজকে ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে।
রাস্তায় চলাচলে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল থেকেই ট্রাফিক রুল শেখাতে হবে। স্কুলের সামনেই ট্রাফিক থাকবে, জেব্রা ক্রসিং থাকবে, যেখানে আন্ডার পাস প্রয়োজন তার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।
দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তা যতদূর সম্ভব রোধ করতে হবে। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।